এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোটের খরচে গরমিল! আয়কর দপ্তরের বড়সড় জরিমানার মুখে তৃণমূল কংগ্রেস

ভোটের খরচে গরমিল! আয়কর দপ্তরের বড়সড় জরিমানার মুখে তৃণমূল কংগ্রেস

দলীয় তহবিলের উত্‍স ঠিকমতো দেখাতে না পারার অভিযোগে তৃণমূলের কাছে জরিমানা দাবি করলো আয়কর দফতর। জানা গেছে ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের কাছে। ২০১০-১৪ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের কাছে দলীয় তহবিলের হিসাব চেয়েছিল আয়কর দফতর। তাতে গত লোকসভা ভোটে ২৪ কোটি টাকা খরচের হিসাবও রয়েছে। আয়কর দফতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারের খরচ এবং প্রতিটি কেন্দ্রে দলীয় পতাকা পাঠানো বাবদ খরচের হিসাব চেয়েছিলো, আর তার হিসাবও দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। কিন্তু তাতে আয়কর দফতর খুশি নয় বলেই এই নোটিশ পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আয়কর দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে ২০১০-১১ সালের আয়কর রিটার্নের ভিত্তিতে এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। তবে তৃণমূল জরিমানা দেবে নাকি আইনি পথে লড়বে তা এখনো জানা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই বিষয়টিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখছেন। তিনি দাবি করেছেন যে কেন্দ্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতরের মধ্যে দিয়ে।
পাশাপাশি দলত্যাগী নেতা মুকুল রায়ের দিকেও শাসকদলের তরফে আঙ্গুল উঠেছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে দলের হয়ে বরাবর মুকুল রায়ই এই সব কাজ দেখতেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হোক বা আয়কর দফতর, কোনও ক্ষেত্রেই তিনি হিসাবপত্র দাখিল করে যাননি। এমনকি কাগজপত্র কোথায় রয়েছে, সে সবও জানিয়ে যাননি। ফলে পাঁচ-ছয় বছরের পুরনো কাগজপত্র পেতে নাকাল হতে হচ্ছে তাঁদেরকে। প্রসঙ্গত, এই নোটিশে মুকুল রায়ের নাম আছে এবং তাঁর নাম করেই আয়কর দফতর লিখেছে যে, মুকুল রায়ই লিখিতভাবে যথাযথ উত্তর দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনে জরিমানা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। যেহেতু সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি, তাই ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা মেটানো হোক। মুকুলবাবু অবশ্য এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বহু দিন আগের ঘটনা, আমার এখন কিছু মনে নেই, আমি সব দেখতামও না। তৃণমূলের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আঁকা ছবি বিক্রি করে ভোটের খরচ চালিয়েছেন দলীয় তহবিলে সেই টাকাই রাখা হয়েছে এবং মুকুল রায় সব জানেন, তিনিই বিষয়টি দেখতেন ফলে তাঁকেই এর দায় নিতে হবে। অন্যদিকে মুকুল রায়ের অনুগামীদের বক্তব্য, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে হেলিকপ্টার আর পতাকা বাবদ ২৪ কোটি টাকা খরচের হিসাব চাওয়া হয়েছে, তা মুকুলবাবুর নিয়ন্ত্রণে ছিল না, তাই শুধু শুধু তাঁর নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!