এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অধিকারী কাঁটা উপড়ে ফেলতে আবার তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর

অধিকারী কাঁটা উপড়ে ফেলতে আবার তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ জয় পেলেও, তৃণমূলকে বারবার বিঁধছে অধিকারী কাঁটা। তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে দিলেও পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের প্রভাব যে এখনও যথেষ্ট রয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। অধিকারী পরিবারকে কোণঠাসা করে দিতে বারবার নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিকারী পরিবারের বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আনা হচ্ছে সামনের সারিতে। শুভেন্দু অধিকারীর ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত অখিল গিরিকে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে আনা হলো পটাশপুরের প্রাক্তন বিধায়ক জ্যোতির্ময় করকে। শুভেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবারের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত তিনি।

তৃণমূলে যখন অধিকারী পরিবারের দাপট অব্যাহত ছিল, তখন কিছুটা পেছনের সারিতে চলে গিয়েছিলেন জ্যোতির্ময় কর, অখিল গিরির মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারীদের সঙ্গে তাঁদের একেবারেই বনিবনা ছিল না। এরপর অধিকারী পরিবার তৃণমূল ছেড়ে দেবার পর থেকে তাঁরা ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে থাকেন। তাঁদের ওপরেই অধিকারী কাঁটা উপড়ে ফেলার গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ কারণেই রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী করা হয়েছে। কিছুদিন আগে তাঁকে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। এবার এই পদে আনা হল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতির্ময় করকে । দলের কাছ থেকে এই নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর গণমাধ্যমে জ্যোতির্ময় কর জানিয়েছেন যে, দল যখন তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছেন। এবার দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিল, সে দায়িত্ব তিনি আস্থা ও মর্যাদার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করবেন।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারীর সঙ্গে কখনোই সুমধুর সম্পর্ক ছিলনা জ্যোতির্ময় করের। একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে বিরোধে জড়াতে দেখা গেছে। তবে তৃণমূলে অধিকারী পরিবারের দাপট থাকার কারণে, অনেকটা পেছনের সারিতে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কাঁথি থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে কঠিন লড়াইয়ের পরও শেষপর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন তিনি।

এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করে দেয়া হয় শিশির অধিকারীকে। প্রায় ১০ বছর তিনি সেই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এবার এই পদে এলেন জ্যোতির্ময় কর। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে শুভেন্দু অধিকারী তথা অধিকারী পরিবারের প্রভাব সম্পূর্ণ মাটিতে মিশিয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এ কারণেই অধিকারী পরিবারের বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনা হচ্ছে সামনের সারিতে, দেয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!