এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার নিদান, মমতার উন্নয়নে ভরসা নেই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার!

পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার নিদান, মমতার উন্নয়নে ভরসা নেই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তৃণমূল সরকার নাকি সমস্ত প্রকল্প করেছে, এই সমস্ত কথা বলেই প্রত্যেকটি ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করে রাজ্যে শাসক দল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিভিন্ন সভা সমিতিতে বলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ওপর কি ভরসা হারাচ্ছেন তার দলের নেতাকর্মীরাই! সেই জায়গায় কি প্রশ্রয় পাচ্ছে হিংসা!

ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিককে উদ্দেশ্য করে উন্নয়ন দিয়ে কিছু হবে না, পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে বলে নিদান দিয়েছেন আরাবুল ইসলাম।সূত্রের খবর, এদিন একটি সভায় বক্তব্য রাখেন ভাঙ্গরের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। যেখানে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে উদ্দেশ্য করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন এই প্রসঙ্গে এই তৃণমূল নেতা বলেন, “উন্নয়ন দিয়ে কিছু হবে না। ভাঙরের মাটিতে উন্নয়ন দিয়ে আর কিছু হবে না। এখন পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে। নওশাদ সিদ্দিকীরা যে ভাষায় বোঝে, সেই ভাষায় তাদের উত্তর দিতে হবে।” আর আরাবুল ইসলামের এই বক্তব্য নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, এটাই তো তৃণমূলের আসল রূপ। এই আরাবুল ইসলাম তৃণমূলের বড় সম্পদ। একসময় অধ্যাপিকাকে জগ ছুড়ে মারা থেকে শুরু করে ভোট লুটের মতো অনেক কাজের সঙ্গেই তিনি জড়িত। আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের স্রোতে রাজ্যকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করছেন। কিন্তু আরাবুল ইসলামের মতো নেতারা সেই উন্নয়নে ভরসা রাখছেন না। তারা হিংসা দিয়ে বিরোধীদের কাবু করার হুমকি দিচ্ছেন। আর এর ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতটা সন্ত্রাস সৃষ্টি হবে!

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইরকম হুমকি, হুঁশিয়ারি চলতে থাকলে রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যি সত্যিই উন্নয়নের নিরিখে মানুষকে পাশে পেতে চান, তাহলে আরাবুল ইসলামের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই হবে। তৃণমূল নেত্রীকে দেখিয়ে দিতে হবে যে, তিনি হিংসাকে বরদাস্ত করেন না। কারণ তিনি শুধু তৃণমূল নেত্রী নন, তিনি এই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও বটে। তাই বিরোধী দলের একজন জনপ্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে যখন শাসকদলের এক নেতা পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার কথা বলছেন, তখন সেই জনপ্রতিনিধিকে রক্ষা করার দায়িত্বও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই তিনি সেই দায়িত্ব পালন করতে নিজের দলের দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!