এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ডানা ছেঁটে সাবিত্রী হলেন ব্লক সভানেত্রী, কৃষ্ণেন্দুর হাতে তাও নেই, বাড়ছে জল্পনা

ডানা ছেঁটে সাবিত্রী হলেন ব্লক সভানেত্রী, কৃষ্ণেন্দুর হাতে তাও নেই, বাড়ছে জল্পনা

মালদহ জেলার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। দলীয় মহলেই অভিযোগ এই দুই নেতা-নেত্রীর ‘ঝগড়ার’ সুবাদে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্য জুড়ে দাপট দেখালেও মালদহতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রাজ্যের শাসকদল, ১২ তার মধ্যে ১ তা আসনও নিজেদের ঝুলিতে পুড়তে পারে নি। স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো হেরফের ঘটেনি। আর তাই, সেই অন্তর্কলহের ‘শাস্তি’ স্বরূপই যেন দলের মধ্যে ডানা ছাঁটা হল এই দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর। শাসকদলের নব গঠিত জেলা কমিটিতে ঠাঁই হয় নি রাজ্যের প্রাক্তন এই দুই মন্ত্রীর। সাবিত্রী মিত্রকে তাও মানিকচক ব্লকের সভানেত্রী করা হয়েছে, কিন্তু কৃষ্ণেন্দুবাবুকে জেলায় কোনও দলীয় পদেই রাখা হয়নি, এমনকি ঠাঁই মেলে নি জেলার কোনও কমিটিতেও।
আর তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই দুই হেভিওয়েটের এভাবে ডানা ছাঁটার সিদ্ধান্তে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত জল্পনা। রাজ্য-রাজনীতির নতুন ‘ট্রেন্ড’ মেনে কি এবার তবে শাসকদল ছেড়ে এঁরা কেউ পা বাড়াবেন বিরোধী শিবিরে? নাকি নতুন করে গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তাল হবে মালদহের রাজনীতি? এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেন নি মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দুবাবুর বক্তব্য, এসপি থেকে ওসি হতে চাই না। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে দল যা বলবে, তাই করব। এমনকি সাবিত্রীদেবীও জানিয়েছেন, দলের একজন অনুগত কর্মী হিসেবে দলীয় নির্দেশ মেনে কাজ করব। কিন্তু তাঁদের এহেন বক্তব্যের পরেও থামছে না জল্পনা, এর আগে যেভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের নৌকায় পা বাড়িয়েছিলেন বা রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে ‘হেভিওয়েট’ মুখের সন্ধানে বিজেপি যেভাবে ঝাঁপাচ্ছে তাতে ‘দুয়ে-দুয়ে চার’ হতেও পারে বলে ভবিষ্যৎবাণী করছেন স্থানীয় আলোচনায় অনেকেই। সেই সম্ভাবনায় বাস্তবায়িত হয় নাকি এই দুই হেভিওয়েট আবার স্বমহিমায় শাসকদলে জাঁকিয়ে বসেন সেদিকেই তাকিয়ে এখন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!