হবু ডাক্তারদের অনশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও ছাত্রছাত্রীদের একযোগে অনুরোধ কনফেডারেশন নেতার কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 23, 2018 রাজ্যের অগনিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীর হয়ে বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে বেতন নিয়ে তাঁর সংগঠনের অদম্য লড়াই ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে রাজ্যবাসীর। দুই প্রখ্যাত আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি ও বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সহায়তায় কলকাতা হাইকোর্টে করা যে মামলার জন্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা আশায় বুক বাঁধছেন, তার অন্যতম মুখ তিনি – তিনি সুবীর সাহা, সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশনের অন্যতম শীর্ষনেতা। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের হবু ডাক্তারদের অনশন ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বিদ্বজন থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সকলেই ছুটে গেছেন – আর এই পরিস্থিতিতে আর চুপ করে থাকতে পারলেন না সুবীরবাবুও। তাঁর পুত্র-কন্যাসম ছাত্রছাত্রীদের এইভাবে দিনের পর দিন অনশনে বসে থাকতে দেখে একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন এই বিষয়ে, অন্যদিকে তেমনই ছাত্রীছাত্রীদের কাছেও রাখলেন বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করার বিনীত অনুরোধ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন – কিছুদিন আগে একটি রাজনৈতিক দলের দলীয় কর্মসূচিতে আহত কর্মীদের পাশে বর্তমান রাজ্য সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবিক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে I কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা আজ ১৩ দিন ধরে তাদের দাবির সমর্থনে অনশন করে চলেছে। যারা আগামী দিনে দেশের নাগরিকদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে আর তাদের দাবির দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা যথাযথ নয় বলে মনে করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কিছু দিন পূর্বে উক্ত রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সঙ্গে নিজে দেখা করেন এবং আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যদি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের সাথেও উনি দেখা করতেন তাহলে হয়তো ওনার যে মানুষকে আপন করে নেওয়ার গুণ আছে সেই গুণের দ্বারা হয়তো এই সমস্যার খুব সহজ সমাধান বেরিয়ে আসতো। তাহলে হয়ত আমাদের সন্তানসম ওই পড়ুয়াদের কষ্ট করতে হতো না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এমন কিছু এখনও পর্যন্ত হয়নি। আমরা আশাবাদী আমাদের মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রীর হাতের স্পর্শে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। উক্ত পড়ুয়াদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিদ্বজন, রাজনৈতিক দল, ছাত্র ইউনিয়ন, সরকারি কর্মচারী সংগঠন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি একজন ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী হিসাবে ছাত্রদেরকে বলবো এক আন্দোলনেই সব দাবী আদায় করা যায় না। বার্গেনিং-এর মাধ্যমে যতটা বেশি সম্ভব দাবী আদায় করে নিয়ে আবার পরে পূরণ না হওয়া দাবিগুলি নিয়ে আন্দোলন করা যেতে পারে। তোমাদের সমাজের কাছে যেমন দায়বদ্ধতা আছে, যেই দায়বদ্ধতার দরুন তোমরা এই কঠিন লড়াই করছো – ঠিক তেমনই তোমাদের পরিবারের কাছেও তোমাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে, সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তোমাদের অনুরোধ করবো তোমাদের এই অনশন স্থগিত করতে। – সুবীর সাহা কনফেডারেশন নেতা ** এই লেখায় সম্পূর্ণ মতামত কনফেডারেশন নেতা সুবীর সাহার একান্ত ব্যক্তিগত, প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার নয়। আপনার মতামত জানান -