প্রদেশ সভাপতি পদে বসতে চলেছেন অধীর ঘনিষ্ঠ? পেছন থেকে উঠে এসে বাজিমাত করবেন এই তরুণ তুর্কি? কলকাতা রাজ্য August 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কিভাবে লড়াই করতে হবে, তা নিয়ে যখন ঘুটি সাজাচ্ছিলেন সোমেন মিত্র, ঠিক তখনই তীব্র অসুস্থতা গ্রাস করে তাকে। আর এরপরই হাসপাতলে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোমেনবাবু। এদিকে সোমেন মিত্র প্রয়াত হওয়ার পর কংগ্রেসের অন্দরমহলে একটাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে কে বসবেন? ইতিমধ্যেই হাইকমান্ডের কাছে প্রাথমিক একটি তালিকা পৌঁছে গেছে বলে খবর। তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আবদুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম প্রদেশ কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে জল্পনা তৈরি হলেও, আরও একটি নাম বর্তমানে জ্বলজ্বল করে সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেপাল মাহাতো এবং বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর নাম জমা করেছেন। আর এতেই তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি এবার মনোজবাবু প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হচ্ছেন? একাংশের মতে, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধিতা, সবেতেই কার্যত স্পষ্টবাদী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এই মনোজ চক্রবর্তী। তাই তার মত ব্যক্তিকে যদি প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে বসানো যায়, তাহলে যেমন নতুন মুখ আসবে, ঠিক তেমনই দল অনেকটাই চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “মনোজ চক্রবর্তী প্রদেশ সভাপতির আসনে বসলে জেলায় কংগ্রেস আবার জেগে উঠবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি থেকেই ধীরে ধীরে উত্থান ঘটেছে এই কংগ্রেস নেতার। পরবর্তীতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাড়িয়ে 2006 সালে প্রথমবার বিধায়ক করেছিলেন তিনি। তারপর টানা তিনবার বহরমপুরের বিধায়ক হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে দিয়েছেন। অত্যন্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিচয় বহন করা এই মনোজ চক্রবর্তী খুব ভাল মতই মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন। তাই তাকে এই সময় দায়িত্ব দিলে খুব একটা খারাপ হবে না বলেই দাবি একাংশের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা অতীতে প্রদেশ সভাপতি হিসেবে প্রদীপ ভট্টাচার্য্য বা অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্ব সামলেছেন। অন্যদিকে আব্দুল মান্নান সভাপতি হলে তিনি কতটা সামলাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যদি নতুন এবং চনমনে মুখকে দায়িত্ব দেওয়া যায়, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীরা অনেকটাই চাঙ্গা হতে পারবে। কিন্তু সত্যি সত্যিই কি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মনোজ চক্রবর্তীর নাম পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির জন্য সুপারিশ করেছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, “প্রদেশ সভাপতির দৌড়ে আমি কারও নাম সুপারিশ করিনি। কদিন পরে দিল্লি থেকে তার ঘোষণা হবে। তখনই দেখবেন, কে হচ্ছেন সভাপতি।” এদিকে এই ব্যাপারে যার নাম নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা, সেই মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “দেখুন কংগ্রেসের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতি করতে এসেছি। তিনি যা বলবেন, তাই আমার ব্যক্তিগত মত। এর বেশি কিছু নয়।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টা ছোট হলেও কংগ্রেস নেতা কর্মীদের কাছে প্রদেশ সভাপতি পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সোমেন মিত্রের পর সেই পদে কে বসবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলীয় স্তরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য যে সমস্ত নামগুলো নিয়ে চর্চা চলছে, তার পাশাপাশি যেভাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নেতা মনোজ চক্রবর্তীর নাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য উঠে এল, তাতে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এখন শেষ পর্যন্ত কে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -