এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সরকার ডাহা ফেল! হাল ধরুণ আপনিই! মোদিকে বিশেষ অনুরোধ অধীরের, বাংলায় বাড়ছে জল্পনা!

রাজ্য সরকার ডাহা ফেল! হাল ধরুণ আপনিই! মোদিকে বিশেষ অনুরোধ অধীরের, বাংলায় বাড়ছে জল্পনা!


রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, দুই সরকারেরই প্রবল বিরোধী তারা। একদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে যেমন সরব হতে দেখা যায় তাকে, ঠিক তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও লোকসভায় দাঁড়িয়ে সরব হন তিনি। কিন্তু এবার সেই বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মুখে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদনের কথা।

বস্তুত, করোনা ভাইরাসের মধ্যেই সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। যে ঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। নেই পানীয় জল। তাই এই পরিস্থিতিতে গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এখন সেনাকে মাঠে নামানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

এবার এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেসের উপর কোনো ভরসা না-রেখে উল্টে প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানালেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই ব্যাপারে একটি চিঠি লেখেন অধীরবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি লেখেন, “বাংলায় আমপান বিপর্যয়ের পর পরিস্থিতির দৃশ্যত কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে ডাহা ফেল করেছে। তাই উদ্ধারকাজের জন্য অবিলম্বে যেন আরও সেনা পাঠানোর ব্যবস্থা করে কেন্দ্র।” তবে যে অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের বিরুদ্ধে সবসময় সরব হন, সেই অধীরবাবুর গলায় এখন তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাওয়ায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। তাহলে কি তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করে বাংলার তৃণমূল সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও প্রশ্ন করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, “বাংলার প্রশাসন আন্দাজই করতে পারেনি যে, কি পরিমান বিপর্যয় হতে চলেছে! তাই প্রস্তুতিও ছিল না। সেটা সরকারের ব্যর্থতা। উল্টে মুখ্যমন্ত্রী কাকদ্বীপে লোক দেখাতে গিয়েছিলেন যে, তিনি কাজ করছেন। যে মানুষগুলো পানীয় জল, বিদ্যুতের অভাবে হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন, তারা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে চান না। তারা চান জল, বিদ্যুৎ। মুখ্যমন্ত্রী কি এভাবে ঘুরে বেড়ানো কাজ! সচিবালয়ের কাজ কোথায় মানুষের অভাব হচ্ছে, কোথায় ত্রাণ পাঠাতে হবে। পাশেই তো উড়িষ্যার। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে তো ফনির পরে এখানে, ওখানে লোক দেখানো ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়নি!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্রের কাছে বাংলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আর্জি জানিয়ে আদতে বাংলার সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার চেষ্টা করলেন। বিজেপি বিরোধিতায় সংসদে সরব হলেও, যেহেতু তিনি বাংলার সংসদ, তাই আসছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিপর্যয়ের দিকটি তুলে ধরে তৃণমূলকে চাপে ফেলতেই কেন্দ্রের কাছে ঘাসফুল শিবিরকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!