এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনার মাঝেই উধাও ইঞ্জেকশন, রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের!

করোনার মাঝেই উধাও ইঞ্জেকশন, রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে এমনিতেই আকাল তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই সম্প্রতি কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে সেই করোনা চিকিৎসার অন্যতম ইঞ্জেকশন হিসেবে পরিচিত টসিলিজুমাব উধাও হয়ে যায়। যার ফলে নানা মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে দায়ের করা হয় জনস্বার্থ মামলা। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার এই ইঞ্জেকশন নিয়ে রাজ্য সরকারকে বড়সড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

 

যেখানে রীতিমতো দিন ধার্য করে রাজ্য সরকারকে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই করোনা ভাইরাস যখন সংকটজনক মুহূর্তে পৌঁছে গিয়েছে, তখন সেই করোনা চিকিৎসার অন্যতম ইঞ্জেকশন গায়েব হওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারের অস্বস্তি দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে করোনা ভাইরাসের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ইঞ্জেকশন সম্প্রতি উধাও হয়ে যায়। যে ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে দেবাংশী সাহা নামে এক চিকিৎসকের। আর এরপর থেকেই নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়। পরবর্তীতে তাপস মাইতি নামে এক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী জুলাই মাসের 2 তারিখের মধ্যে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে ফলকনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের চাপ যে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে এমনিতেই টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। একটি ভ্যাকসিন যে কতটা মূল্যবান, তা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে কলকাতার মেডিকেল কলেজ থেকে করোনা ভাইরাস নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জেকশন উধাও হওয়ার ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। একজন সরকারি চিকিৎসক কেন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হলেন, তা নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। অবশেষে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এখন এই ব্যাপারে রাজ্যের পক্ষ থেকে আগামী জুলাই মাসের 2 তারিখের মধ্যে হাইকোর্টে কি বক্তব্য পেশ করা হয় এবং তাতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কি নির্দেশ আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!