এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহল নিয়ে বিস্ফোরক দাবী বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের

জঙ্গলমহল নিয়ে বিস্ফোরক দাবী বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের

তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতা আসার দিন থেকেই জঙ্গলমহল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তিঘাঁটি হয়ে গেছে,একথা রাজ্য রাজনীতিতে বহু চর্চিত বিষয়। তবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেনজির ভাবে এই শক্তিশিবিরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। ঝান্ডা উড়েছে বিরোধীদের। এ নিয়ে আগেও রাজ্যবিজেপি তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করলেও এদিন ফের একবার তীব্র কটাক্ষের বাণে বিদ্ধ করলেন রাজ্য পদ্মবাহিনীর সেনাপতি দিলীপ ঘোষ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, এদিন ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় গেছিলেন তিনি জঙ্গলমহলের বিজেপিশিবিরকে চাঙ্গা করতে। দুপুরে সরডিহা রেক স্টেশান এলাকা থেকে মানিকপাঈা বাজার অব্দি পায়ে হেঁটে যান তিনি এলাকা তদারক করতে। সেখানেই বক্তব্যে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্য সরকারকে। জানালেন, জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূল বিদায় নিয়েছে। ফলত,এখানকার ডিএম,এসপি,বিডিওদের রদবদল করলেও তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে জোয়ার আসবে না। এদিন তিনি জঙ্গলমহলবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন লোকসভা ভোটেই তৃণমূলকে এলাকা থেকে সমূলে উপড়ে ফেলতে। ৭০ বছর ধরে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা হয়ে আসছে। কৃষকদের উপার্জন বাড়েনি। তাই কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষিপন্যের মূলবৃদ্ধি করবে। এর ফলে কৃষক সমাজে সুদিন আসতে চলেছে।

এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে রাজ্যসরকারের ত্রুটি তুলে ধরতে আরো জানান যে, পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ডে,পার্শ্বশিক্ষকদের ১৮ হাজার টাকা দিচ্ছে রাজ্যসরকার। আর এ রাজ্যে মাত্র ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই টাকা তো স্কুলে যাতায়াত বাবদই খরচা হয়ে যায়। আর বাকি টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটপূর্তিতেই চলে যাচ্ছে। এই সামান্য টাকায় পার্শ্বশিক্ষকদের সংসার চলবে কীকরে? এই প্রশ্নও রাখেন তিনি এলাকাবাসীর সামনে। এরসঙ্গে তিনি এটাও জানান যে,বর্তমানে রাজ্যে চরম দুর্নীতি আর গুন্ডারাজ চলছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বাংলাদেশ থেকে ঢুকে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমএলএ,এমপির মদতে তাঁরা রেশন কার্ড,আধার কার্ডও পেয়ে যাচ্ছে। এরকম যদি চলতে থাকে রাজ্য সন্ত্রাসের আখড়া হয়ে উঠবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বাবু জানান যে একমাত্র ওই বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র ব্যতিক্রম। রাজ্যসরকার ওখানের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে কিছু তৃণমূলের সমর্থক ওখানে ইচ্ছে করে রাজনীতি নিয়ে নোংরামি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের দমন করা উঠিৎ বলে গর্জে ওঠেন তিনি। শিক্ষাপ্রাঙ্গনে কোনো রাজনীতি চলে না বলেই মতামত জানান রাজ্য বিজেপির সুপ্রিমো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!