এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > এলাকায় যান না তৃণমূলী বিধায়ক, ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর সই না পেয়ে অসহায় বাবা

এলাকায় যান না তৃণমূলী বিধায়ক, ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে তাঁর সই না পেয়ে অসহায় বাবা

দেশের সাংবিধানিক পদের অধিকারী হয়েও দায়িত্বে গাফিলতির জেরে বিপাকে সাধারণ মানুষ।  মেদিনীপুরের আনন্দপুরের শোলিডিহার অধিবাসী নিরূপ চক্রবর্তী। তাঁর একমাত্র ছেলে পনেরো বছর বয়েসী অপু চক্রবর্তী’র গলায় ক্যানসার। চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। সামান্য জমি আর চাষবাস সম্বল করে ছেলের চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব নয়। এখন একমাত্র সহায় বা ভরসা যাই হোক তিনি মুখ্যমন্ত্রী । যাঁর কাছে অর্থের আবেদন করলে সাড়া পাওয়া যাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও একটা সমস্যা রয়েছে। কী না , আবেদনপত্রে স্থানীয় বিধায়কের সই চাই। কিন্তু সমস্যার জট এখানেই। এলাকার বিধায়ক  শিউলি সাহা তাঁর কেন্দ্রে আসেন কালে ভদ্রে। আর বিধায়কের একটা সই এর জন্যে জেলার নানা প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে দুভাগ্য পীড়িত নিরূপ চক্রবর্তীকে। এদিন নিরূপ বাবু তাঁর নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বললেন, ”ফর্মে বিধায়কের সই না করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা দিতে পারব না। ফলে, সমস্যায় পড়েছি।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গতঃ অসুস্থ অপু চক্রবর্তীর বর্তমানে ভেলোরে চিকিৎসা চলছে। এদিন মেদিনীপুর শহরে তৃণমূল কংগ্রেস দলের বৈঠক আছে জেনে নিরূপ বাবু কেশপুরএর বিধায়ক শিউলি দেবীর সাথে সাক্ষাতের আশায় সেখানে গেছিলেন। কিন্তু ঐ বৈঠকে শিউলি দেবীর অনুপস্থিতির জেরে খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। কেশপুরপুরের বিধায়ক কেন ও তাঁর এলাকার যান না ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেলো পঞ্চায়েত নির্বাচনের  আগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দলীয় বিবাদের কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণেই শিউলিদেবীকে কেশপুরে যেতে নিষেধ করেছিলেন। পরে একবার সেখানে তাঁর ওপরে হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও এখন সেই বিধি নিষেধ নেই তথাপি শিউলি দেবী তাঁর এলাকায় উপস্থিত থাকেন না কেনও প্রশ্নের উত্তরের খোদ এলাকার বিধায়ক বললেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি তো দেখতে হবে। এ বার কেশপুর যাব। আশা করি, সমস্যা হবে না।” আপনার একটা সই পেতে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে ক্যানসার আক্রান্তের বাবাকেও? এ বার বিধায়কের জবাব, “গত সপ্তাহেও মেদিনীপুরে গিয়েছিলাম। ওঁর আবেদনে নিশ্চয়ই সই করে দেব।” অন্যদিকে কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান এই ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন, ”ওই আবেদনে মন্ত্রীর সই হলেও হবে। আমি ওঁকে (ক্যানসার আক্রান্তের বাবাকে) জেলার এক মন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এক কাগজে লিখেও দিয়েছি।”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!