এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনাকে কাবু করতে লকডাউনের পথে হাঁটলেও, টিকা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নবান্নের, জানালেন আলাপন

করোনাকে কাবু করতে লকডাউনের পথে হাঁটলেও, টিকা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নবান্নের, জানালেন আলাপন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ থেকে রাজ্যে শুরু হলো লকডাউন, যা আগামী দুসপ্তাহ স্থায়ী হতে চলেছে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া, প্রায় সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় করোনার টিকাকরন কিভাবে চলবে? তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছিল রাজ্যবাসীর। এরপর এ বিষয়ে বিশেষ সিদ্ধান্তের কথা জানায় নবান্ন। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানান, লকডাউনের বিধি নিষেধ জারি থাকলেও, ভ্যাকসিনেশনের কাজ বন্ধ থাকবে না। তিনি জানিয়েছেন, টিকাকরণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ জারি করে তা বন্ধ করাও প্রয়োজন। দুটি বিষয়কে যাতে মিলানো যায়, তাঁরা সেই চেষ্টাই করছেন। লকডাউন জারি করা হলেও টিকা নিয়ে নবান্নের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।

করোনা রুখতে গেলে টিকাকরনের কাজ যে দ্রুত সম্পন্ন করা প্রয়োজন, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কিন্তু রাজ্যে ভ্যাকসিনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে কতটা পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তবে তার মধ্যে দিয়েই দ্রুত টিকাকরণের কাজ শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার। এই উদ্দেশ্যেই রাজ্যের মানুষকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর দ্বিতীয় ভাগে রয়েছেন সেই সমস্ত মানুষ, যাদের সর্বদা অন্যান্য মানুষের সম্মুখীন হতে হয়।

দ্বিতীয় ভাগের মধ্যে রয়েছেন সেই সমস্ত মানুষ যাদের কাজ করতে বা পরিষেবা দিতে সব সময় অন্যান্য মানুষদের কাছাকাছি যেতে হয়। এই ধরনের মানুষের মধ্যে রয়েছেন জরুরী পরিষেবা ও পণ্যদ্রব্যের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। যাদের মধ্যে রয়েছেন রেশন ডিলার, কেরোসিন ডিলার, এলপিজি ডিলার, পেট্রোল পাম্পে কর্মরত বহু মানুষ। তার সঙ্গে সঙ্গেই আছেন ট্যাক্সিচালক, অটোচালক, টোটো চালক, রিকশাচালক ও অন্যান্য পরিবহনকর্মী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরা ছাড়াও দ্বিতীয় ভাগে রয়েছেন সাংবাদিক, আইনজীবী, আদালতের ক্লার্ক, কর্মী, হকার, সংবাদপত্র বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা, মুদিখানার দোকানে কাজ করা মানুষেরা, মাছ বিক্রেতা, ফলবিক্রেতা, বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী, যৌনকর্মী, রূপান্তর কর্মী, করোনা যোদ্ধা, জেলবন্দী মানুষ। এই সমস্ত মানুষের নাম নথিভুক্ত করে এক স্পষ্ট তথ্যভান্ডার তৈরি করে দ্রুত টিকাকরণ এর কাজ শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে নির্বাচনের পূর্বে ভোটের কাজে যোগ দেওয়ার সরকারি-আধা সরকারি কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেরই টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। যাদের এখনও টিকাকরণ সম্পন্ন হয়নি, তাদের দ্রুত টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জেলা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্বিতীয় ক্ষেত্রের মানুষদের দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের কাজ সম্পন্ন করতে চাইছে।

এর সঙ্গেই রাজ্যের সাধারণ মানুষের টিকাকরণের কাজ দ্রুত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে থাকা হাসপাতাল, সিএমওএইচদের সাধারণ মানুষের টিকাকরণের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এভাবে রাজ্যে লকডাউন থাকলেও টিকাকরনের ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা হবে না বলেই, নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। টিকাকরণ এর ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!