এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনার করালগ্রাস রুখতে রেল পরিষেবায় নয়া আবেদন, রাজ্যের সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা!

করোনার করালগ্রাস রুখতে রেল পরিষেবায় নয়া আবেদন, রাজ্যের সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রথম ঢেউয়ের পর করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই যাত্রী কম হওয়ার কারণে একের পর এক বাতিল করা হয়েছিল ট্রেন পরিষেবা। বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র স্পেশাল ট্রেন চালু রাখা হয়েছিল। যে পরিষেবার মধ্যে দিয়ে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত তাদের কর্মস্থলে পৌছতে পারছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন করোনা ভাইরাস কিছুটা হলেও নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই আবার সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক পর্যায়ে বাইরে বেরোতে শুরু করেছেন।

বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজন মত পৌঁছতে সেই স্পেশাল ট্রেনের ওপর ভরসা করছেন জনতা জনার্দন। যার ফলে ব্যাপক চাপ বাড়ছে সেই ট্রেনগুলোর। স্বাভাবিক ভাবেই শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বা অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এই ট্রেন পরিষেবা চালু করা হলেও, সেখানে সকল স্তরের মানুষ চেপে যাওয়ায় আবার নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এই পরিস্থিতিতে যাতে ধীরে ধীরে অন্যান্য রেল পরিষেবাগুলো চালু করা যায়, তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদন করল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যা যখন কমতে শুরু করেছে, তখন ধীরে ধীরে অন্যান্য রেল পরিষেবাগুলো চালু করা হলে শুধুমাত্র স্পেশাল ট্রেনের উপর গাদাগাদি করে ভিড় হবে না। যার ফলে সংক্রমণ থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যাবে, তেমনই সামাজিক দূরত্ব পালন করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য এই আবেদন বলে মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, লোকাল ট্রেনের পরিষেবা যাতে অন্যান্য সময়ের মত স্বাভাবিক করা যায়, সেই বিষয়ে যেন অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু হঠাৎ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে এই আবেদন করা হল কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, “রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর গত বারের মত এবারেও রেল শুধুমাত্র তার জরুরি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে বিশেষ ট্রেন চালু করে। তবে কখনও কখনও এই ট্রেনে সাধারণ মানুষ উঠে পড়েছেন। যার জেরে প্রচন্ড ভিড় হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না। তাই আমাদের আশঙ্কা, যে উদ্দেশ্যে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য সফল না হয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই চলতি সপ্তাহে রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা যাতে চালু করা যায়, তার কথা বলা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই দূরপাল্লার বেশকিছু ট্রেন চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরও ট্রেন চালু করা হবে। কিন্তু লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু না হলে স্পেশাল ট্রেনগুলোর উপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আশঙ্কা করে রাজ্যের হাতে থাকা লোকাল ট্রেনগুলো চালু করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দড়ি টানাটানি মাঝেমধ্যেই লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রথম ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছিল, তখন ট্রেন পরিষেবা চালু রাখার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেন করে রাজ্যে আসলে তাকে “করোনা এক্সপ্রেস” বলে আখ্যা দিতে দেখা গিয়েছিল বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। তবে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

কিন্তু যে সমস্ত স্পেশাল ট্রেন চালু রাখা হয়েছিল, এবার সেখানেও সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে। যার ফলে সংক্রমণ আরও হু হু করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে এবার ধীরে ধীরে যাতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা সচল করা যায়, তার জন্য পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের এই আবেদন। এখন রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!