এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সবং নিয়ে কি ‘অন্য’ গন্ধ পাচ্ছেন মানস ভূঁইয়া?

সবং নিয়ে কি ‘অন্য’ গন্ধ পাচ্ছেন মানস ভূঁইয়া?


পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং বিধানসভা আর কংগ্রেসের মানস ভূঁইয়া যেন সমর্থক দুটি শব্দ। নয়-নয় করে সাত-সাতবারের বিধায়ক তিনি এই সবং। রাজ্য-রাজনীতিতে কত পালাবদল হয়ে গেছে – প্রবল বাম জমানা থেকে পরিবর্তনের তৃণমূল সাথী হয়ে, বৈরিতা ভুলে বামফ্রন্টের সঙ্গে মহাজোট – রাজ্য-রাজনীতিতে উত্থান-পতন হয়েছে কত রাজনীতিকের কিন্তু সবং আর হাতচিহ্নের মানস ভূঁইয়াকে আলাদা করতে পারে নি কিছুই। সবংয়ের মানুষ দুহাত ভোরে আশীর্বাদ করে গেছেন মানসবাবুকেই। কিন্তু পরিস্থিতি এখন আলাদা, দলবদলে মানসবাবু হাত ছেড়ে এখন ঘাসফুলে। আর তারই পুরস্কার স্বরূপ ঘাসফুলের টিকিটে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ সবংয়ের বিধায়ক হিসাবে ইস্তফা দিয়ে।
আর মানসবাবু বিধায়ক হিসাবে ইস্তফা দিতেই টিকিট প্রত্যাশী হয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু দল শেষপর্যন্ত টিকিট দেয় মানস-পত্নী গীতারানি ভূঁইয়াকে। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন দলের এক বিশেষ নেতাকে ধরে মানসবাবু নিজের স্ত্রীকে টিকিট পাইয়ে দেন। আর স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে শাসকদলের অন্দরেই। আর তাই কি অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছেন মানসবাবু। সাংবাদিকদের বলেই দিলেন, লড়াইটা বেশ কঠিন, তলে তলে কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি একজোট হয়েছে, তাঁদের লক্ষ্য মানস ভুঁইয়া নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শাসকদলের অন্দরের ক্ষোভকে ভোটবাক্স পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে মরিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা মুকুল রায়। কংগ্রেসও ছেড়ে দেবার পাত্র নয়, যে কংগ্রেস তাঁকে সাতবার বিধায়ক করল, সেই কংগ্রেসকেই ‘ক্ষমতার লোভে’ ত্যাগ করে চলে গেলেন শাসকশিবিরে! এটাই সবংয়ে কংগ্রেসের প্রচারের মূলমন্ত্র। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছুদিন আগে পর্যন্ত তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানসবাবু যে সব ‘মধুর বাণী’ শুনিয়েছেন তার ভিডিও প্রদর্শনী।
তার উপরে স্থানীয় ঘরোয়া আলোচনায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কাহিনী। মানসবাবুর বিরুদ্ধে লুকোনো ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ‘আদি’ তৃণমূলীরা। তাঁদের বক্তব্যের সারাংশ, এতদিন সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে সবংয়ে তৃণমূলের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ শানিয়েছেন মানস ভুঁইয়া। নিজের স্বার্থে এখন উনি দল বদলে সাধু সাজার চেষ্টা করছেন। দলের নির্দেশ মেনে প্রচারে যেতে হচ্ছে, কিন্তু মনের সায় তো নেই, ভোট বাক্সে এর প্রভাব পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই! আর তাই তো মানসবাবুকেও কুঞ্চিত কপালে মেনে নিতে হচ্ছে, লড়াইটা বেশ কঠিন! আর এই কঠিন লড়াইয়ে ভূঁইয়া পরিবারের মুখে হাসি বজায় থাকে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!