এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > রাজ্য সরকার দিতে পারলো না রিপোর্ট, আপাতত ‘গ্রেপ্তারির’ হাত থেকে বাঁচলেন মুকুল রায়

রাজ্য সরকার দিতে পারলো না রিপোর্ট, আপাতত ‘গ্রেপ্তারির’ হাত থেকে বাঁচলেন মুকুল রায়

গত ২০১৫ সালের জুন মাসে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় মুকুল রায়ের ‘রাজনৈতিক গুরু’ নামে সুবিদিত তথা তৃণমূল নেতা মৃণালকান্তি সিংহ রায়। কিন্তু কিছুদিন আগেই মৃণালবাবুর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়, তাঁর মৃত্যুর পিছনে আসলে তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ‘হাত’ আছে। যদিও মুকুল রায় শিবিরের তরফে দাবি জানানো হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে শাসকদল তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আর এই নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল মৃণালকান্তি সিংহরায়ের ‘রহস্যমৃত্যু’ কাণ্ডে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না মুকুল রায়কে।

সূত্রের খবর, ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, মেডিক্যাল রিপোর্ট, মৃণালকান্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত সমস্ত নথি আদালতে পেশ করতে হবে। কিন্তু আজ, রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার এবং পাবলিক প্রসিকিউটর শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, সমস্ত রিপোর্ট পেতে সমস্যা হচ্ছে। আদালত এজন্য যেন কিছুটা সময় দেয়। সরকারের আর্জি মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১৫ মার্চ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। প্রসঙ্গত, মৃণালবাবুর বোন সোনালি কুণ্ডু কিছুদিন আগেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপরেই তিনি বিস্ফোরকভাবে অভিযোগ আনেন যে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় মুকুল রায় তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরুকে’ নজরদারিতে রেখেছিলেন এবং সেখানেই তাঁকে ‘খুন’ করা হয়। এই নিয়ে মৃণালবাবুর পরিবার তখন পুলিশে নালিশ জানাতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফলে সম্প্রতি নতুন করে ব্যারাকপুর আদালতের দারস্থ হয় মৃণালবাবুর পরিবার, আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায় গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!