পুরসভার জল নিয়ে চাপানউতোর,ভরসা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ রাজ্য February 15, 2018 এবার রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রকোপ বাড়ল ডায়রিয়ার। এর জন্য এলাকাবাসি স্থানীয় পুরসভাকে ই দায়ী করেছে। রিষরার ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় মাস দেড়েক আগে ডায়রিয়া ছরায় প্রতি ঘরে ঘরে। জলের পাইপ ফেটে গিয়ে তাতে নর্দমার জল মিশে গিয়েছিল। খুব তাড়াতাড়িই পাইপ লাইনের সুব্যবস্থা করে তাতে ক্লোরিন মিশিয়ে জল সরবরাহ চালু করা হয় বলে জানা গেছে পুরসভার অন্দরমহল থেকে। এদিকে প্রায় ২২ দিন পরে জল সরবরাহ শুরু হলেও সেই জল মুখে দেওয়ার আশঙ্কা তারা উড়িয়ে দিতে পারছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ‘‘পুরসভার জল মুখে দেওয়ার সাহস পাচ্ছি না। আমার বাড়িতে মাসে দেড় হাজার টাকার জল কিনতে হল। কেনা জলে তো আর ডায়েরিয়ার ভয় থাকবে না!’’ এমনটাই জানান রিষরার শ্রীকৃষ্ণনগরের বাসিন্দা মুকেশ সিংহ। ‘‘২২ দিন জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। কেএমডব্লিউএসএ পাইপ লাইন সাফাই এবং মেরামত করেছে। জলের নমুনা পরীক্ষা করেছে। জল এখন নিরাপদ।’’ এমনটাই জানান পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র। কিন্তু এ বিষয় কোন লিখিত শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি শ্রীরামপুরের তারাপুকুর ও মল্লিকপারাতে ডায়রিয়া ছড়িয়েছিল বলে জানা যায়। তবে কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষ জানান, ‘‘খুব কম মানুষই জল কিনে খান। পুরসভার ট্যাপকলের জল পরিস্রুত।’’এদিকে বৈদ্যবাটির বাসিন্দারাও জানেননা জল নিয়মিত পরীক্ষণ হয় কিনা। ‘‘জলাধার নিয়মিত সাফাই হয়। যেখানে জলের পাইপ নেই, সরকারি প্রকল্পে সেখানে পাইপ বসানোর কাজ চলছে।’’ এমনটাই দাবী করলেন সুবির ঘোষ। ‘‘কেএমডব্লিউএসএ থেকে নিয়মিত জলের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে আনা হয়। পানীয় জল নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। গোন্দলপাড়া জল প্রকল্প ছাড়াও গভীর নলকূপের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়।” এমনটাই জানান চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। আপনার মতামত জানান -