এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নবদ্বীপে জমছে ক্ষোভ

মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নবদ্বীপে জমছে ক্ষোভ


ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রথমবার মায়াপুর সফরে এলেন। কিন্তু নবদ্বীপের বৈষ্ণব সমাজ অভিমান প্রকাশ করল মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। ‘‘আমরা ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী যখন মায়াপুরে আসছেন, চৈতন্য জন্মস্থান দর্শন করতে নবদ্বীপেও আসবেন। বছর দু’য়েক আগে তিনি নবদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক ও সভা করলেও চৈতন্য জন্মস্থান বা বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর জন্মভিটেয় তিনি যেতে পারেননি। সে আশা এ বারেও পূর্ণ হল না।’’শোক প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছেন নবদ্বীপ সনাতন সন্ত সমাজের সভাপতি অদ্বৈতদাস বাবাজি। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর হিসাবে ঘোষণা করবেন বলে প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু না না ব্যাস্ততার কারনে দেখা মেলেনি তাঁর। এমনটাই জানান নবদ্বীপের বৈষ্ণব সমাজ। ৫০০ বছরেরও পুরনো মহাপ্রভুর বিগ্রহ দর্শন করতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই আশা করেছিলেন তাঁরা। ‘‘আমাদের কাছে সারাদিন ধরে ফোন আসছে— কখন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহাপ্রভু দর্শনে আসছেন। শেষে বাধ্য হয়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছি।” এমনটাই জানিয়েছেন মন্দিরের পরিচালন সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী। “গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের সহ-সভাপতি কিশোর গোস্বামী বলেন, ‘‘মায়াপুরের উন্নতিতে আমরাও খুশি। কিন্তু নবদ্বীপ ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ছে না তো? নবদ্বীপ মালঞ্চপাড়ায় বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্মভিটে বা চৈতন্য জন্মস্থানের মতো প্রাচীন স্থান, প্রাচীন সব বিগ্রহ, পুঁথি বুকে নিয়ে বসে আছে নবদ্বীপ। ভেবেছিলাম, আমাদের আড়ম্বরহীন সুপ্রাচীন মন্দিরে প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে পাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না পাওয়াটা আমাদের কাছে বড় কষ্টের।” সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে এমনটাই জানিয়েছেন গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের সহ সভাপতি কিশোর গোস্বামী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!