এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > প্রকাশ্যেই মোদী সরকারের প্রশংসা করে জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূলের ‘সেরা’ সাংসদ

প্রকাশ্যেই মোদী সরকারের প্রশংসা করে জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূলের ‘সেরা’ সাংসদ

২০১১ সালে ঐতিহাসিক জয় পেয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে আসীন হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর ছেড়ে আসা রেলমন্ত্রকে তিনি বসান ব্যারাকপুরের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে। কিন্তু তিনি রেল বাজেটে ভারতীয় রেলের উন্নতিতে রেলের ভাড়া বাড়িয়ে দলনেত্রীর কোপে পড়েন, কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে হারাতে হয় মন্ত্রীত্ত্ব। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মুকুল রায়। কিন্তু সেইসময়ে শুধু মন্ত্রীত্ত্ব হারানোয় নয়, দলের মধ্যেও বেশ কোনঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে, মুকুল রায় দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, বিজেপিতে গিয়েই হুঙ্কার ছেড়েছেন ব্যারাকপুর সহ উত্তর ২৪ পরগনার তিন লোকসভা আসনই বিজেপির দখলে নিয়ে আসবেন। মুকুল রায়ের জায়গায় ওই জেলা সামলানোর সাংগঠনিক দায়িত্ত্ব পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দীনেশ ত্রিবেদী ও সুনীল সিং।

দীনেশবাবু জেলার দায়িত্ত্ব পাওয়াতে অনেকেই মনে করেছিলেন পুরোনো ক্ষোভ মিতে গেছে। তার উপরে কিছুদিন আগেই লোকসভায় ‘সেরা’ সাংসদের শিরোপা জিতে নিয়ে আরো বেশি ভরসা জুগিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এবার তৃণমূলের দলীয় লাইনের সম্পূর্ণ উল্টোপথে হেঁটে আবার জল্পনা বাড়ালেন সেই দীনেশ ত্রিবেদী। আজ ব্যারাকপুরের মনিরামপুর ডাকবিভাগের সদর কার্যালয়ে রাজ্যের সপ্তম পোস্ট অফিস হিসেবে পাসপোর্ট পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করে তিনি জানান, আমি এক-দেড় বছর আগে কলকাতার আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে সেখানকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট আধিকারিককে আমি অনুরোধ করেছিলাম, যেহেতু ভারত সরকার পাসপোর্ট প্রদানের কাজটি সরলীকরণ করার জন্য দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিসগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। সেহেতু ব্যারাকপুরের পোস্ট অফিসেও যাতে পাসপোর্ট পরিষেবা প্রদানের কাজ চালু করা সম্ভব হয়। আমি আজকে খুবই খুশি যে ব্যারাকপুর পোস্ট অফিস থেকে এই অঞ্চলের নাগরিকরা পাসপোর্ট পরিষেবা পাবেন। ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এই এলাকার মানুষকে কষ্ট করে আর কলকাতায় যেতে হবে না। যেখানে সারা দেশের মধ্যে মোদী-বিরোধিতায় সব থেকে সরব ব্যক্তির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এইভাবে কেন্দ্র সরকারের প্রশংসা করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এইভাবে মোদী সরকারের প্রসংসা করে নতুন কি বার্তা তিনি দিতে চাইলেন সেই হিসেবে করতেই এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!