এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রের পরোয়া না করে বকেয়া আড়াই হাজার কোটি টাকার মজুরি মিটিয়ে দেবেন তিনিই, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

কেন্দ্রের পরোয়া না করে বকেয়া আড়াই হাজার কোটি টাকার মজুরি মিটিয়ে দেবেন তিনিই, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর


প্রশাসনিক সভা হোক বা রাজনৈতিক সভা – প্রায় প্রতি জায়গা থেকেই বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের কথা তুলে সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কেন্দ্রের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি বলে বারবার অভিযোগও করেছেন তিনি। আর এবার ফের সেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গঙ্গাসাগর সুন্দরবন কাপ উদ্বোধনী তথা সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চ থেকে ক্ষোভ উগরে দিলেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দুমাস ধরে এই রাজ্যের 100 দিনের কাজের প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন অনেকেই। এদিন সেই প্রসঙ্গে তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “100 দিনের মজুরি বাবদ মোট আড়াই হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু বারবার বলেও ওরা কোনো টাকা দিচ্ছে না। তাই বকেয়া মজুরি বাবদ সেই টাকা এবার আমরাই মিটিয়ে দেবো।”

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় কার্যত করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাস্থল। তবে শুধু 100 দিনের কাজ নিয়েই নয়, এদিন রাজ্যের উন্নয়ন ও গঙ্গাসাগরের বন্দর তৈরিতেও কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাজপুরের বন্দরের জন্য রাজ্যের হাতে থাকা 74% অংশীদারিত্ব কেন্দ্রকে দিলেও এখনো সেইখানে কোনো কাজই হয়নি। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে কোনো সহযোগিতা করা না হলেও ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গাসাগরের উন্নতির জন্য তাঁর সরকার ঠিক কত কাজ করেছে এদিন সেই বিষয়েও সকলকে অবহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। দৃপ্ত কণ্ঠে মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “আমরা কেন্দ্রের ভিক্ষা চাই না। সাগরের উন্নয়নের জন্য যা করার আমরাই করবো।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুরের পারদ আরও চওড়া করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফসল বীমার টাকা নিয়েও কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ফসল বীমার 80% টাকা রাজ্য সরকার দেয়, অথচ প্রচার করা হচ্ছে পুরো টাকা নাকি কেন্দ্রই দিচ্ছে। তাই আমরা এবার থেকে ঠিক করেছি ফসল বীমার পুরো টাকা আমরাই দেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই নামখানা-বকখালি সংযোগকারী হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপর সেতু তৈরি এবং বাসন্তী-গোসাবা সংযোগকারী প্রস্তাবিত গদখালি সেতুর শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভায় উপস্থিত কপিল মুনি মন্দিরের প্রধান রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নকে “বিকাশ” আর বাকি সবকে “বকওয়াশ” বলে অভিহিত করেন। আর এরপরই নাম না করে বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইসকন জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা করে।

আর অন্যদিকে মানুষ মারার জন্য আর দাঙ্গা বাধানোর জন্য কেউ কেউ রথযাত্রার করছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে যেইখানেই প্রশাসনিক কাজে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই সভা থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়াচ্ছেন তিনি। এদিন গঙ্গাসাগরের সভা থেকেও তার কোনো ব্যতিক্রম হল না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!