এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সামনে এল করোনার ভয়ঙ্করতম একাদশ অবতার! ঘুম উড়তে পারে বিশ্ববাসীর!

সামনে এল করোনার ভয়ঙ্করতম একাদশ অবতার! ঘুম উড়তে পারে বিশ্ববাসীর!

বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির হাত থেকে মুক্তি পেতে উঠে-পড়ে লেগেছে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির সমস্ত গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। যদিও প্রতিষেধক আবিষ্কার এর ব্যাপারে বারবার বাধা আসছে করোনার জিনগত প্রক্রিয়ার কারণে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, করোনা মিউটেশন পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত নিজেদের জিনগত পরিবর্তন করে চলেছে। যার ফলে কোন প্রতিষেধক করোনার উপর সঠিকভাবে কাজ করবে, তার দিশা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গত 4 মাস ধরে যেভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসী চরম আতঙ্কিত।

জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত করোনা নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে এগারটি জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়েছে নিজের। এ দাবি অবশ্যই বিশ্বের তাবড় তাবড় গবেষকদের। ফলে মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে বিশ্বের নানা দেশে করোনা ভাইরাসের 11 তম রূপটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের প্রকরণ নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণায় লেগেছেন কল্যাণী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল জিনোমিক্স বা এনআইবিজিতে দুই বাঙালি গবেষক নিধন বিশ্বাস এবং পার্থ মজুমদার। তাঁদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ এর এ২এ প্রকারটি ইতিমধ্যেই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটিই সব থেকে মারাত্মক ভাইরাস বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এক দশক আগে যে ভয়ঙ্কর সার্স মহামারী এসেছিল পৃথিবীতে তার থেকেও আরো মারাত্মক ভয়ঙ্কর এবং মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই নতুন এ২এ করোনা ভাইরাস। পার্থ মজুমদারের তথ্য থেকে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় তার জিনগত পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী। প্রথম যে রূপে করোনার আবির্ভাব ঘটেছিল সেটি ছিল ‘ও’ টাইপ। এবং এটিকেই এখনো পর্যন্ত আদিমতম অবতার বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা এখন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বারংবার বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, করোনা ভাইরাস যেভাবে জিনগত পরিবর্তন করে চলেছে প্রতিনিয়ত, তাতে প্রতিষেধক আবিষ্কার হলেও তা কতটা কাজে দেবে তা বলা মুশকিল। তবে আশংকা করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস কিছুটা ক্ষান্ত দিলেও পুরোপুরি তার হাত থেকে মুক্তি মিলবেনা। প্রতিবছর যেভাবে মরশুমি ফ্লু জ্বর ফিরে ফিরে আসে, ঠিক একইভাবে করোনা ভাইরাসও ফিরে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই কথা ইতিমধ্যে চীন এবং ব্রিটেন এর গবেষকরাও বলেছেন বলে জানা গেছে। নিধন বিশ্বাস এবং পার্থ মজুমদারের এই গবেষণাপত্রটি খুব শীঘ্রই ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চের পাতায় প্রকাশ পেতে চলেছে।

তবে যতদিন না করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হচ্ছে, ততদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপরই জোর দিচ্ছেন বিশ্বের সমস্ত চিকিৎসক, গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এবং এই কথাকে সারবত্তা মেনেই ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি। মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে হয়েছে গৃহবন্দী। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে। কিন্তু পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হতে প্রয়োজন প্রতিষেধক এবং ওষুধের। যা আবিষ্কারের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!