এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার প্রতিষেধক প্রদান নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই প্রতিষেধক নিয়ে সুখবর রাজ্যে

করোনার প্রতিষেধক প্রদান নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই প্রতিষেধক নিয়ে সুখবর রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে ওঠার পর এবার হাতছানি তৃতীয় ঢেউয়ের। কার্যত তাই নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই শেষ করতে হবে প্রয়োজনীয় টিকাকরণ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। রাজ্যে টিকাকরণ নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। কার্যত করোনার প্রতিষেধক নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ব্যাপক চাপানউতোর চলছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যকে প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে বঞ্চনা করা হচ্ছে।

আর সেই অভিযোগ যত দিন যাচ্ছে, ততই আরো জোরদার হচ্ছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, অন্য রাজ্যকে যেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এ রাজ্যে মাত্র দু’কোটি প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। বিগত কয়েক দিন যাবত রাজ্যে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাটা পড়েছিল। কিন্তু এবার প্রতিষেধকের খরা কাটতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যে 7 লক্ষাধিক কোভিশিল্ড টিকা এসে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, বাগবাজারের রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের স্টোরে এই টিকা মজুদ করা হয়েছে। শনিবার দু’দফায় টিকা ঢুকেছে রাজ্যে। রবিবার থেকে জেলায় জেলায় এই টিকা পাঠানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত সোমবার থেকে আবার রাজ্য জুড়ে জোরকদমে প্রতিষেধক প্রদান শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে 8 লক্ষ কোভিশিল্ড প্রতিষেধক মজুদ রয়েছে বাগবাজারের স্টোরে। তবে জানা যাচ্ছে, মজুদ টিকা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোউইন এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত রাজ্যে 3 লক্ষ 60 হাজারের কাছাকাছি প্রতিষেধক প্রদান করা সম্পন্ন হয়েছে। কার্যত বৃহস্পতিবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রতিষেধকের অভাবের মাঝেই গ্রামাঞ্চলে 50% টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন 80% টিকা প্রদান না হলে রাজ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেনা।

তবে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যে রাজ্যে এই বিপুল পরিমান প্রতিষেধক আসা কার্যত টিকাকরণ কর্মসূচিকে আরো গতি দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক। সংক্রমণ যে নিম্নমুখী, সে কথা মেনে নিচ্ছেন সবাই। কিন্তু প্রতিষেধক সংক্রান্ত নিয়মাবলী তাতে বিন্দুমাত্র বদল হচ্ছেনা। আপাতত প্রতিষেধক সংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্ক কি রাজ্যে টিকা আসার সূত্রে ধামাচাপা পড়বে? থাকছে বড়োসড়ো প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!