প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে দেশবাসীর প্রতি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, উন্নয়নের নতুন পর্যায়ের লক্ষ্য হলো, এমন একটি ভারত তৈরি করা, যেখানে সরকার নাগরিকদের জীবনের ওপর হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি জানালেন, ভবিষ্যতে ভারতে অকারণে নাগরিকদের জীবনের উপর হস্তক্ষেপ না করাই হবে, সরকারের লক্ষ্য।

এরপর প্রধানমন্ত্রী জানালেন, ইতিপূর্বে সরকার চালকের আসনে থাকত। সে সময় হয়তো তার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। তাই অপ্রয়োজনীয় আইন ও প্রক্রিয়ার জটিলতা থেকে দেশবাসীকে রেহাই দিতে গত সাত বছর ধরে জোরদার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, পরবর্তী প্রজন্মের পরিকাঠামোর জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশ্বমানের উৎপাদন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। ছোট কৃষকেরা যাতে দেশের গর্ব হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই সকলের মন্ত্র হতে হবে। আগামী বছরে দেশে ক্ষুদ্র কৃষকদের সম্মিলিত সক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন। ছোট কৃষকদের কাছে সমস্ত রকম সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। তাঁরা অবশ্যই দেশের গর্ব হয়ে উঠতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, উন্নয়নের সুফল সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমালয় অঞ্চল, উত্তর পূর্ব অঞ্চল, উপকূলীয় এলাকা, আদিবাসী এলাকায় ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলা হবে। সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলকে হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজের যে অংশ পিছিয়ে রয়েছে, যে এলাকা উন্নত নতুন নয়, হাত ধরতে হবে সেখানকার মানুষের।

স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। বিরোধী শিবির থেকে একাধিকবার যখন মানুষের ওপর নজরদারি, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, মিডিয়ার স্বাধীনতা হরণ ইত্যাদি অভিযোগ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে, তখন প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।