প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মাঝরাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন খড়দার তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে। সূত্রের খবর, নিহত তৃণমূল নেতার সঙ্গে খড়দা বিধানসভার প্রার্থী প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিনহার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সূত্রের খবর, গতকাল গভীর রাতে যখন তৃণমূল নেতা রণজয় শ্রীবাস্তব এক সঙ্গীসহ ফিরছিলেন, সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা করে। খুব কাছ থেকে গাড়ির কাঁচ লক্ষ্য করে গুলি করা হয়, যে গুলি তৃণমূল নেতার বুকে এবং গলায় লাগে। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে 5 জনকে। খোঁজ চলছে অন্যদের।

অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তৃণমূল নেতা রণজয় শ্রীবাস্তব খড়দা থানার বাগদী পাড়া এলাকার কাছে যখন গাড়ি নিয়ে পৌঁছান, তখন তাঁকে ঘিরে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী ঝামেলা শুরু করে। তৃণমূল নেতাকে গালিগালাজ করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা চলাকালীন আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে অন্যপক্ষ। গোলাগুলির শেষে দেখা যায় রণজয় শ্রীবাস্তবের গলার নিচে এবং বুকে গুলি লেগে তিনি লুটিয়ে পড়েছেন রক্তাক্ত অবস্থায়। তৎক্ষণাৎ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ব্যারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গিয়েছে নিহত তৃণমূল নেতা ব্যারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের হিন্দি সংগঠনের সম্পাদক ছিলেন। কার্যত তাঁর মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক জলঘোলা হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার সাথে সাথে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে, কী কারণে এই খুন হলো? এই ঘটনার পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে কিনা। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে খড়দা যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, এলাকার দখলের লড়াইয়ের ঝামেলায় প্রাণ দিতে হলো রণজয় শ্রীবাস্তবকে। কার্যত খড়দায় কোন বিধায়ক না থাকায় দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে টিটাগর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও বিজেপির দিকে অভিযোগ উঠলেও তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁদের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি যে অত্যন্ত নির্মম সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিটাগড়ের বুকে খুন হয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। আর এবার তৃণমূল নেতা খুন হলেন। কার্যত একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের খুনের পেছনে আসল কারণ কি, তা জানতে এবার উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ।