এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ক্ষমতা থেকে চলে গেলেও প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের অ্যাম্বুলেন্সই নাকি বিদেশ থেকে এসেছে অস্ত্র!

ক্ষমতা থেকে চলে গেলেও প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের অ্যাম্বুলেন্সই নাকি বিদেশ থেকে এসেছে অস্ত্র!

পঞ্চায়েতে বোর্ডগঠন। কথাটা শুনতে এবং করতে খব সহজ হলেও সেই কাজটিই এখন অসম্ভব হয়ে দাড়াচ্ছে এই বাংলায়। অবশ্য অসম্ভব হয়ে দাড়াবেই না বা কেন!  যেখানে বোর্ড গঠনকে ঘিরে বোমা আর গুলির বৃষ্টিতে আতঙ্কিত হয় পরিবেশ, সেখানে এই বোর্ড গঠন তো অস্বাভাবিক বটেই।

এই তো সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার আমডাঙায় সামান্য এই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যেভাবে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছিল তাতে এখন সকলির মুখে একটাই প্রশ্ন, কোথা থেকে এল এই এত অস্ত্র? যা নিয়ে শাসকদল তৃনমূল সিপিএমের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। কিন্তু 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ধীরে ধীরে বামেদের সংগঠনে ধস পড়েছে ফলে সংগঠনে মরচে ধরা সেই বামেরা কিভাবে আনবে অস্ত্র?

সূত্রের খবর, রাজ্যে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও এই আমডাঙার তারাবেড়িয়া, বোদাই, মরিচা গ্রামে সিপিএমের শক্তি এখনও অটুট রয়েছে। শাসদল অবশ্য এইসব অঞ্চলে বামেদের প্রভাব অস্বীকার করে শুধুই দাবি করছে, সিপিএম চলে গেলেও তাদের হার্মাদরা রয়ে গেছে। আর তারাই এই অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার এই ঘটনার পর থেকে অভিযানে নেমে অজস্র বোমা এবং অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এমনকী বেশ কয়েকটি বন্দুকও উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশের অভিযোগ, মালিকার বিলে এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে তাঁদের লক্ষ করে বোমাও ছোড়া হয়। তবে এই অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করলেও অস্ত্র যোগানের পেছনে ঠিক কারা রয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদিন জেলা তৃনমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সিপিএমের এক সাংসদ এখানে অ্যাম্বুলেন্স দান করেছিলেন। সেই অ্যাম্বুলেন্স চালকের আত্মীয়রা অস্ত্র তৈরি করে সেই অস্ত্র সিপিএম এখানে পাচার করছে। রক্তের খেলা খেলছে ওরা।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে তৃনমূলের এই বিস্ফোরোক অভিযোগ প্রসঙ্গে সিটু সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের মহিলারা সেদিন প্রতিরোধ করেছিলেন। বোমা চালানোর ক্ষমতা আমাদের নেই।” পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে উত্তর 24 পরগনা জেলা সিপিএম সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তী বলেন, “বোমা বন্দুক নিয়ে তৃনমূলই রাজনীতি করছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তো মন্ত্রী! আমরা যদি বোমা, বন্দুক নিয়ে আসি তাহলে ওনার পুলিশ ধরতে পারল না কেন?” রাজনৈতিক মহলের মতে, অশান্তি এখন কিছুটা হলেও থেমেছে আমডাঙায়। অস্ত্রের ঝনঝনানিও নেই। কিন্তু শাসক বিরোধী দুদল যেভাবে এই অস্ত্রের যোগান নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্ত্রে শান দিচ্ছে, তাতে কেউ সেই অস্ত্র আতঙ্কে ভোগা অসহায় মানুষগুলির প্রতি নজড়ই রাখছে না।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!