এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে সাংসদ, একুশে তৃণমূলের জন্য টিম পিকে এখন সকলেরই দোরে দোরে?

সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে সাংসদ, একুশে তৃণমূলের জন্য টিম পিকে এখন সকলেরই দোরে দোরে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক মাস বাকি। তার আগে এখন বিরোধী দলের ঘর ভাঙতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম থেকে শুরু করে বিজেপি-কংগ্রেস প্রতিটি রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের দিকে নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় নেতাদের চাপ দিচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। সূত্র মারফত খবর, এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদের কাছেও প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে তৃণমূলে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে খবর পাওয়া গেল।

জানা যায়, একসময় জলপাইগুড়ি জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা ছিলেন মোক্তাল‌ হোসেন। কিছুদিন আগেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে খবর। যা নিয়ে এখন টালমাটাল জলপাইগুড়ি জেলা। এক সময় এই সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হত। এখন তাকে যেভাবে তৃণমূলের টানার জন্য উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। এদিন এই প্রসঙ্গে মোক্তাল হোসেন নামে সেই সিপিএম নেতা বলেন, “পিকের টিমের প্রতিনিধি বলেন যে, পার্টি অফিস পোড়ানোর জন্য তৃণমূল নেতারা এসে ক্ষমা চাইবেন। আমি রাজি হলে রাজ্য দল থেকে প্রতিনিধি এসে ক্ষমা চাইতে পারে বলেও পিকের টিম জানিয়ে দেয়।”

এদিকে রাজ্যের প্রাক্তন বন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বনমালী রায়কেও প্রশান্ত কিশোরের টিম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বনমালী রায় বলেন, “আমাকে পিকের টিম থেকে ফোন করেছিল। বলল দেখা করবে। প্রথমে বুঝতেই পারিনি। প্রশান্ত কিশোরের টিম শুনে আমি জিজ্ঞেস করি, তৃণমূলের টিম পিকে নাকি! দেখা করতে চেয়েছিল। আমি না করে দিয়েছি।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অন্যদিকে এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ মহেন্দ্র রায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। মহেন্দ্রবাবুর বক্তব্য, তাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। আর জলপাইগুড়ি জেলার বিরোধী ভোটব্যাঙ্ক অর্থাৎ সিপিএমের থেকে হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে যেভাবে তৃণমূলের প্রশান্ত কিশোরের টিম থেকে শুরু করে অন্যান্যরা চাপ দিচ্ছেন বলে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। তাহলে কি এখন বিরোধীদের ঘর ভাঙ্গাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে? আর তাই দিকে দিকে বিরোধী নেতাদের নিজেদের দিকে টানার জন্য এইরকম উদ্যোগ নিচ্ছেন শাসক দলের নেতারা?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “সিপিএমের নির্দেশে একসময় হয়ত ওই নেতারা অনেক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে তারা দোষী নয়। তৃণমূল এলে তারা আরও ভালো হতে পারবেন।” সব মিলিয়ে এখন দিকে দিকে বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্ক ভেঙে হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন তৃণমূলের এই উদ্যোগ কতটা সফল হয়, যে সমস্ত নেতার কাছে দল বদলের প্রস্তাব দিয়েছে, তারা সত্যি সত্যিই তৃণমূলে পা বাড়ান কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!