ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে বড়ধাক্কা রাজ্য সরকারের, আশায় বুক বাঁধছেন সরকারি কর্মীরা বিশেষ খবর রাজ্য January 16, 2018 কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা নিয়মিত মহার্ঘভাতা পেলেও রাজ্য সরকারি কর্মীরা তা পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বারেবারেই জানিয়েছেন বিপুল ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে চলতে হওয়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষে যতটা দেওয়া সম্ভব তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চলতি মাস থেকে অতিরিক্ত ১৫% ডিএ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে প্রায় ৩৯% ডিএ বাকি থাকায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ কিছুতেই থামছে না। আর তাই অনন্যোপায় হয়ে তাঁরা তাকিয়ে আদালতের দিকে। আর এই লড়াইয়ে তাঁদের বড় ‘অস্ত্র’ হতে চলেছে রাজ্য সরকারের এক গেজেট নোটিফিকেশন ও দুটি গভর্নমেন্ট অর্ডার এবং আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের তোলা কিছু প্রশ্ন। যা রাজ্য সরকারের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার আশা কি কার্যত শেষ? কি হল আজকের মামলার শুনানিতে? ২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের প্রকাশিত গেজেট নোটিফিকেশন ও গভর্নমেন্ট অর্ডার থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারই মেনে নিচ্ছে যে এই ভাতা কর্মীদের অবশ্যই প্রাপ্য এবং তাঁরা তা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু দ্বিতীয় গভর্নমেন্ট অর্ডার অনুযায়ী কর্মীরা ডিএ ‘পেতেও পারেন’, এতদিন ধরে এই শব্দবন্ধকে ‘ঢাল’ করেই মামলাকারীরা ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের তরফ থেকে। আরও পড়ুন: আসছে ‘গল্পে আড্ডায়’, আপনারা তৈরি তো? কিন্তু গতকাল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের কাছে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল যা নিয়ে কার্যতই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা কতটা, কতদিন ধরে বাকি পড়ে রয়েছে বা ছিল? সরকার যদি বলে, যখন সম্ভব হবে তখন দেব, তাহলে তা কতটা যুক্তি বা আইনগ্রাহ্য, তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। কারণ, যে কারণে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়, দেরি হলে তার যৌক্তিকতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো হয়েছে, তা কীভাবে দেওয়া হয়? এখনও এই ভাতা কত বাকি বা কেন্দ্রীয় সরকারের মহার্ঘভাতার সঙ্গে রাজ্য কর্মীদের এমন ভাতাপ্রাপ্তির ঠিক তফাত কতটা? পাঁচ বছর পরে যদি প্রাপ্য পাঁচ হাজার টাকা এমন ভাতা দেওয়া হয়, তাহলে এর মূল উদ্দেশ্যটাই কি ব্যাহত হয় না? আর ডিভিশন বেঞ্চের এই মনোভাবে যথেষ্ট উৎসাহিত মামলাকারীরা, মামলার পরবর্তী শুনানি আজ। আপনার মতামত জানান -