এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দায়িত্ব পেতেই দলে আসতে ইচ্ছুকদের নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অভিষেকের, জানিয়ে দিলেন সম্ভাব্য দিনক্ষণ!

দায়িত্ব পেতেই দলে আসতে ইচ্ছুকদের নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অভিষেকের, জানিয়ে দিলেন সম্ভাব্য দিনক্ষণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের হাত ধরে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা টিকিট না পেয়ে যোগ দিতে শুরু করেছিলেন গেরুয়া শিবিরে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সোনালী গুহ, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে জটু লাহিড়ী, তালিকাটা খুব একটা ছোট ছিল না। সকলেরই অভিযোগ ছিল, তৃণমূল কংগ্রেসে শ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না।

তাই তারা সকলে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তবে দুই মাস যেতে না যেতেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। ভোটের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন। অনেকে আবার বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। আর তাদের বেসুরো মনোভাবের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট, তারা প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার কথা না বললেও, ঘাসফুল শিবিরে পা বাড়ানোর জন্য কার্যত মুখিয়ে আছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যারা কিছুদিন আগে দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তারা এখন দলে আসতে চাইলেও, তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না। স্বভাবতই এর ফলে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ে যান সোনালী গুহ থেকে শুরু করে সরলা মূর্মু, অমল আচার্যের মত নেতা নেত্রীরা। তবে এবার দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই সেই সমস্ত চলে আসতে চাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত, গত শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তার করবার জন্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। আর দায়িত্ব পাওয়ার পরই নিজের কাজ শুরু করে দেন তিনি। সোমবার প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। আর সেখানেই যারা দলে আসতে চাইছে, তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “যারা হেরেছেন, তারা শুধু নয়, বিজেপির হয়ে জিতে আসা বিধায়ক হয়েছেন, এমন অনেকে দলে আসতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। পরবর্তী মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।* অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে এতদিন দলবদলকারীদের যে কোনোমতেই গ্রহণ করা হবে না, সেই ব্যাপারটি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেতে না পেতেই যারা অন্য দল থেকে তাদের দলে যোগদান করার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাস্তা কার্যত খোলা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি পরবর্তী বৈঠকে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব এবং তার ফলে দলবদলকারীদের তৃণমূলে আসার ইচ্ছা বাস্তব হয়, তাহলে বিজেপি যথেষ্ট চাপে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এর ফলে দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, শুধু পরাজিত ব্যক্তিরা নয়, বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ফলে তৃণমূল যদি অন্য দল থেকে আসা ব্যক্তিদের গ্রহণ করার রাস্তা খুলে দেয়, তাহলে বিজেপির কত জন জনপ্রতিনিধি তৃণমূলের ছাতার তলায় আসে, তা লক্ষণীয় বিষয়।

পাশাপাশি যদি এই সম্ভাবনা বাস্তব হয়, তাহলে বিজেপি তাদের ঘর গোছানো এবং সাংগঠনিক শক্তি কতটা দেখাতে পারে, সেটাও নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়াবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে তৃণমূলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ওপর। পরবর্তী বৈঠকে এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের স্বাগত জানানোর ব্যাপারে কি অবস্থান নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কারা কারা যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!