এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ধুপগুড়িতে পরাজয়, রাজ্য বিজেপির সংগঠনে রদবদল? জল্পনার মাঝেই বড় তথ্য!

ধুপগুড়িতে পরাজয়, রাজ্য বিজেপির সংগঠনে রদবদল? জল্পনার মাঝেই বড় তথ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যখন বাংলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টায় রাজ্য বিজেপি, ঠিক তখনই ধুপগুড়ি হাতছাড়া হলো তাদের। যে কেন্দ্রে 2021 সালে জয় পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, সেখানেই উপনির্বাচনে জয়ী হলো তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে বিধানসভা উপনির্বাচনে এই পরাজয় পরেই রাজ্য বিজেপির সংগঠনে বদল আসতে পারে বলে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজ্য সভাপতি হিসেবে কার্যত ব্যর্থ সুকান্ত মজুমদার। তার সময় যতগুলি উপনির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে একটি কেন্দ্রেও জয় পায়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। সেদিক থেকে যে সমস্ত জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তিনি সেখানে দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তাই শুভেন্দুবাবুকেই দলের মূল দায়িত্ব দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, ধুপগুড়িতে নিজেদের আসন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার কারণে অত্যন্ত হতাশ গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপির একাংশ বলছেন, উপনির্বাচন বরাবরই শাসকের পক্ষে যায়। ফলে এখানেও তাই হয়েছে। তবে এতসব সত্ত্বেও তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির মাত্র 2 শতাংশ ভোটের ফারাক রয়েছে। আগামী লোকসভায় তৃণমূলের উপযুক্ত জবাব পাবে উত্তরবঙ্গের সব আসনে জয়লাভ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সংগঠনে পরিবর্তনের যে জল্পনা তৈরি হয়েছে এই উপনির্বাচনে হারের পর, তা কার্যত অমূলক এবং অপ্রাসঙ্গিক বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

অনেকে বলছেন, সাংগঠনিক দিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী অনেক বেশি শক্তিশালী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, লড়াই কি করে করতে হয়। এখনও পর্যন্ত সমান গতিতে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে নিজের লড়াইটা দিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এতসবের পরেও যদি তাকে ভালো জায়গা দেওয়া না হয়, তাহলে আবার বড় ভুল করবে কেন্দ্রীয় বিজেপি। তাই লোকসভার আগে এই উপনির্বাচনে হার থেকে অন্তত বিজেপি শিক্ষা নিক। সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে দায়িত্ব দিক যোগ্য ব্যাক্তিকে। ইতিমধ্যেই বিজেপির ভেতর থেকেই সেই আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি একটি সাংগঠনিক এবং সুশৃংখল দল। আগে থেকেই এখানে কে দায়িত্ব পাচ্ছে, তা জানা যায় না। ইতিমধ্যেই ধুপগুড়ির এই পরাজয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতা বি এল সন্তোষ রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন। তবে সেই বৈঠক এবং যাবতীয় আলোচনার মাঝেই রাজ্য বিজেপির সংগঠনে কোনো বড় পরিবর্তন আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!