গর্জালো তবু বর্ষালো না! শেষমেষ রাজ্যপালের কাছে মাথানত করলেন মমতা? চিঠি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 9, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজভবনকে মানে না শিক্ষা দপ্তর, রাজভবন সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে কাজ করছে, এতদিন নানা কটাক্ষ করেছে রাজ্য। রাজ্যপালকে যা ইচ্ছে, তাই বলে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী। তবে এবার সেই রাজ্যপালকে জানিয়েই কাজ করতে হলো রাজ্য সরকারকে। শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত জন রেজিস্টারকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি রাজ্যপালের বিশেষ সচিবের কাছেও পাঠিয়ে দিল শিক্ষা দপ্তর। যেখানে রাজ্যপালকে গোটা বিষয়ে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য মুখে রাজ্যপালকে অমান্য করার যে হুমকি, হুঁশিয়ারিই দিক না কেন, কার্যক্ষেত্রে যে তাকে অমান্য করা যাচ্ছে না, তা রাজ্যের এই পদক্ষেপে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার। আর সেখানেই শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন যে, তাদের সকলকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে। সেইমত অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে। আর সেই নোটিশ রাজ্যপালকে অবগত করাতে পাঠানো হয় তার বিশেষ সচিবের কাছেও। যা দেখে অনেকে প্রশ্ন করছেন, যে রাজ্যপালকে মানতেই চাইছে না রাজ্য সরকার, তাকে অবগত করানোর জন্য এই নোটিশ কেন? তাহলে কি রাজ্যপালকে ভয় পেতে শুরু করেছে রাজ্য? একাংশ বলছেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, রাজ্যপাল রাজ্যকে না জানিয়েই উপাচার্য নিয়োগ করে দিচ্ছেন। যা কার্যত সংবিধান বহির্ভূত। তাই রাজ্য এক্ষেত্রে নিজেরা কোনো ভুল করতে চাইছে না। যে সমস্ত রেজিস্টারকে শোকজ করা হলো, আচার্য হিসেবে রাজ্যপালকে তার সবটাই জানিয়ে দিতে চাইছে রাজ্য। যাতে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের কোনো খুঁত না ধরা হয়, তার জন্যই শিক্ষা দপ্তরের এই পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, উপাচার্য নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজ্যপালকে বিভিন্ন ভাষায় আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার স্পষ্ট করা হচ্ছে যে তারা রাজভবনকে কেয়ার করে না। কিন্তু কার্যকালে সরকারের একটি পদ্ধতি স্পষ্ট করলো যে, রাজভবনকে অমান্য করে কিছুই করতে পারছে না রাজ্য। অনেকে বলছেন, মুখে যাই বলুন না কেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী, সংবিধানকে অমান্য করার ক্ষমতা তাদের কেউ দেয়নি। তাই তা করতে গেলে যে রাজভবন তাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে, তা বুঝতে পেরেছে রাজ্য। যে কারণে রেজিস্টারদের শোকজ নোটির পাঠানোর বিষয়টিও রাজ্যপালকে জানাতে বাধ্য হল শিক্ষা দপ্তর। অন্তত তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -