এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেব কি এবার বিজেপিতে? বিরাট পরামর্শ সুকান্তর! প্রবল চাপে তৃনমূল!

দেব কি এবার বিজেপিতে? বিরাট পরামর্শ সুকান্তর! প্রবল চাপে তৃনমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলে সৎ এবং সত্যি কথা বলার মত নেতার সংখ্যা নেই বললেই চলে। এই দলটার এখন এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে যে, তৃণমূলের কোনো নেতাকে দেখলেই সাধারণ মানুষ চোর বলতে দুবার ভাবছে না। কারণ যে পরিমাণ দুর্নীতি, যে পরিমাণ জেল যাত্রা এই দলের নেতাদের লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়, তারা কেউ এই দলকে সাপোর্ট করতে চাইছেন না। তবে এখনও পর্যন্ত এই তৃণমূল দলে কেউ কেউ রয়েছেন, যারা দুর্নীতি না করেও শুধুমাত্র মতাদর্শের জন্য এই দলে থাকতে চাইছেন। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যাচ্ছে যে, তাদেরকেও এখন এই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হচ্ছে। কারণ তা না হলে মানুষের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ কথা সেই সমস্ত নেতাদের শুনতে হচ্ছে, তাতে তাদের লজ্জায় নাক, কান কাটা যাচ্ছে।

তাই এবার কি সেই ভয়েই তিন সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব? এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে জল্পনা চলছে। তবে তার মাঝেই দেব সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করে নিজের দলকে বার্তা দিয়ে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলেও মনে করছেন একাংশ। অনেকে তো আবার বলছেন যে, দেব এবার ফুল বদল করতে পারেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে যার ফলে প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারে শাসক দল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দীপক অধিকারীর পক্ষ থেকে এইরকম কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে তার মাঝেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি এমন একটি কথা বললেন, যার পর সেই দেবের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি একটি ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। সুকান্তবাবু জানিয়ে দিয়েছেন, দেব ভালো মানুষ। তার সঙ্গে অনেকবার লোকসভায় কথা হয়েছে। কিন্তু অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করলে নরকবাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। স্বর্গবাস হবে কিনা, বলা যাবে না। কিন্তু নরক বাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই অবিলম্বে ওনার অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সুকান্ত মজুমদার অসৎ সঙ্গ বলতে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে দেবকে সৎ সঙ্গে আসার পরামর্শ দিয়েছেন!

আর সুকান্তবাবু যখন এই কথা বলছেন, তখন ধরেই নিতে হবে যে, তার কাছে সৎসঙ্গ মানে বিজেপি! তাহলে কি দেবকে তিনি বিজেপিতে আসার জন্য স্বাগত জানালেন? এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে দেব কিছু না বললেও, যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, দীপক অধিকারী ওরফে দেব তৃণমূলের চোখ রাঙ্গানিকে আর ভয় পাচ্ছেন না। মানুষ এবং তৃণমূলের ভেতরেও অনেকে শুধুমাত্র তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশ আছে জন্য তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সহজ দেখাচ্ছেন না। কিন্তু দীপক অধিকারীর হয়ত বেশ কিছু কাজকর্ম পছন্দ হচ্ছে না। তাই এখনও মেরুদন্ড সোজা রেখে তিনি সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগের পর্বে দাঁড়িয়ে আছেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দুর্নীতি করা এবং ক্ষমতায় থেকে তার সুবিধে নেওয়া, এই সমস্ত কিছু বরাবরই অপছন্দের এই দেবের। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি এই সমস্ত কথা তুলে ধরেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার কাছে মানুষের সেবা করা প্রধান কর্তব্য। এক্ষেত্রে তিনি কোনো রাজনীতির রং দেখতে চান না। কিন্তু দলের কিছু কাজের কারণে তার নাম কয়েক ক্ষেত্রে অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছিল। তাই শেষ পর্যন্ত নিজেকে বদনামের ভাগীদার থেকে রক্ষা করতেই দেবের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে সরকারি কমিটি থেকে  ইস্তফা দিয়েই তিনি থেমে যান, নাকি সম্পূর্ণ বদনাম ঘোচানোর জন্য তিনি এবার দল পরিবর্তনের মত সিদ্ধান্ত নেন, তার দিকে অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের পরামর্শ যদি দেবের পছন্দ হয়, তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের অন্দরে ঘটে যেতে পারে বড়সড় অঘটন। প্রবল ফাটল ধরিয়ে দীপক অধিকারী নিতে পারেন বড় সিদ্ধান্ত। কিন্তু কি হবে, তা সময় বলবে। তাই তার দিকে অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!