মোক্ষম এক চালেই কলকাতা সহ আশেপাশের সব আসনে পদ্ম ফুটবে, দাবি বিজেপি কর্মীদের বিশেষ খবর রাজ্য May 22, 2018 ‘অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতেও’ বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ফল রাজ্য বিজেপি করেছে তাতে অত্যন্ত খুশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব। বঙ্গভূমিতে পদ্ম ফোটার মত অনুকূল পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে মেনে নিচ্ছেন শীর্ষনেতৃত্ত্ব। আর তাই দেরি না করে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই বাংলার মাটিতে ‘ফসল’ তুলতে নেমে পড়তে চান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। গত এপ্রিল মাসেই বঙ্গসফরে আসার কথা ছিল তাঁর, কিন্তু প্রথমে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষিত হয়ে যাওয়ায় আর তারপরে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি নিজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তখন আর আসা হয় নি, কিন্তু বিজেপি সূত্রের খবর, আর দেরি করতে রাজি নন অমিত শাহ। দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও মোটামুটি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতায় আসতে চলেছেন তিনি একগুচ্ছ সফরসূচি নিয়ে। কি নেই অমিত শাহের এবারের সফরসূচিতে? দলীয় সংগঠনের শীর্ষস্তর থেকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কোথায় কি পরিবর্তন দরকার তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় সভা, বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক, কর্মীদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক – সবকিছুই নাকি থাকতে চলেছে অমিত শাহের এবারের সফরে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে এত কাছে পেয়ে এবার দলীয় কর্মীদের তরফ থেকে এক বিশেষ পরামর্শ ও অনুরোধ তাকে জানানো হবে। আর তাহলেই নাকি কামাল হয়ে যাবে বাংলায়! কি সেই বিশেষ পরামর্শ – বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বিজেপি-কর্মীরা চান বর্তমানে দলের মুখ তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরভাই মোদী, আগামী লোকসভা নির্বাচন তাঁর পুরোনো কেন্দ্র বেনারস নয়, লড়ুন উত্তর-কলকাতা কেন্দ্র থেকে। এমনিতেই এবার বাংলায় ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে যেকটি আসনকে ‘সম্ভাবনাময়’ বলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে কলকাতা-উত্তর আসনটি অন্যতম। তার উপরে নরেন্দ্র মোদীর মত মুখ পেলে সেখানে জেতা তো কোনো ব্যাপারই হবে না, উল্টে ওই আসনের সংশ্লিষ্ট আরো অন্তত ১১ টি আসনে পদ্ম ফোটার বিশাল সম্ভবনা তৈরী হবে। বাংলার বুকে কলকাতা-উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী লড়ছেন – এই খবরে গোটা বঙ্গ-রাজনৈতিকমহল উত্তাল হয়ে তো উঠবেই, তার সঙ্গে সঙ্গে এর সংশ্লিষ্ট – কলকাতা দক্ষিণ, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, ব্যারাকপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, যাদবপুর ও ডায়মন্ড-হারবার – এই ১১ টি আসনের সমীকরণ নাকি সম্পূর্ণ বদলে যাবে। দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে সামনে রেখে যে নির্বাচনী ঝড় উঠবে তাতে শাসকদলের অনেক রথী-মহারথী হদিস খুঁজে পাবেন না বলে বিজেপি কর্মীদের দাবি। এখন দেখার, সত্যিই অমিত শাহের সামনে এমন দাবি বিজেপি-কর্মীরা শেষ পর্যন্ত রাখতে পারেন কিনা, আর রাখলেও তা শেষমেশ দিনের এল দেখে কিনা। আপনার মতামত জানান -