এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে গিয়ে বাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও “বন্ধু” খুঁজে পেলেন মন্ত্রী

“দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে গিয়ে বাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও “বন্ধু” খুঁজে পেলেন মন্ত্রী


লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফলের পর সাধারণ মানুষের সাথে যাতে আরও বেশি করে দলের জনপ্রতিনিধিরা মিশে যেতে পারেন, তার জন্য সকলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “দিদিকে বলো” নামে একটি কর্মসূচি তৈরি করে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বর্তমানে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা। আর এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে রীতিমতো সাধারণ মানুষের আবদার মেনে এক মহিলার সঙ্গে “সই” পাতাতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডুকে।

জানা যায়, গত রবিবার দ্বিতীয় দফার গণপ্রচার কর্মসূচী শুরু করেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু। রাত পর্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করে কার কি সমস্যা, তা খাতায় লিপিবদ্ধ করেন তিনি। আর মন্ত্রীর সাথে এইভাবে কথা বলে রীতিমতো আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে যান গ্রামবাসীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ঘটনার পরই এক মহিলা মন্ত্রীকে একেবারে “সই” পাতানোর প্রস্তাব দিয়ে বসেন। আর তারপরই সোমবার সকাল থেকে চিন্তামণি মাহাতো নামে ওই মহিলার সঙ্গে মন্ত্রীর “সই” পাতানোর নানা নিয়ম পালন করা হয়। দূর্বা ঘাস, চন্দনের ফোটায় একে অপরকে বরন এবং মিষ্টিমুখ করে নেন।

একজন সাধারন মহিলার সঙ্গে মন্ত্রী সই পাতানোয় মুখে চোখে উচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যায় গ্রামের অন্যান্য গ্রামবাসীদেরও। যাকে এতদিন একাধিক নিরাপত্তারক্ষী এবং লালবাতির ঘেরাটোপে দেখা গেছে সেই মন্ত্রী একজন মহিলাকে আপন করে নিয়ে যেভাবে সই পাতালেন, তাতে খুশি এই গ্রামের প্রত্যেকেই। সব মিলিয়ে তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডুর সঙ্গে এই গ্রামের বাসিন্দা চিন্তামণি মাহাতোর ফুল বা সই পাতানোর দৃশ্য এক অনন্য নজির স্থাপন করল।

এদিন মন্ত্রীর সাথে “সই” হতে পেরে আনন্দে উজ্জীবিত হয়ে চিন্তামণি মাহাতো বলেন, “এই মাঝবয়সে স্বয়ং মন্ত্রীকে যে “ফুল” হিসেবে পাব, তা ভাবতেই পারছি না। দিদিকে বলোর অনুষ্ঠানই যেন এমন সই পাতানোর সুযোগ নিয়ে এল।” অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু বলেন, “আমাদের গ্রাম বাংলায় ফুল পাতানো একটা রীতি। ছোটবেলায় আমরা এভাবে ফুল পাতাতাম। দুই পরিবারের মধ্যে একটা মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠত। দলের কর্মসূচিতে এসে যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা ভাবতেই পারছি‌ না। আমি ভীষণ খুশি।” সব মিলিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচিই যেন বাংলার হারিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি ও বন্ধুকে খুঁজে দিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!