এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিদিকে বলোতেও চরম ভেজাল, আইপ্যাকের কাজ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

দিদিকে বলোতেও চরম ভেজাল, আইপ্যাকের কাজ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

লোকসভা নির্বাচনের পর অনেক কষ্ট করে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলস্বরুপ বিশিষ্ট ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসে দলের রননীতিকার করেন তিনি। আর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পরেই দিদিকে বলো কর্মসূচি চালু করে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতাদের ময়দানে নামিয়ে দেয়। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল, তৃণমূলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধি হোক বা উঁচুতলার জনপ্রতিনিধি, কারো সম্পর্কে যদি সাধারণ মানুষের কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানানো। আর তার ভিত্তিতেই সাধারণের সেই কথা শুনে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিদিকে বলো কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে এই দিদিকে বলো তে এবার ভেজাল রয়েছে বলে খবর আসতে শুরু করল। জানা গেছে, তৃণমূলের ভেতরে অনেক গোষ্ঠী রয়েছে। ফলে নিচুতলার তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে তৃণমূল নেতাদের অনুগামীদের দিয়ে দিদিকে বলোতে ফোন করিয়ে সেই জনপ্রতিনিধির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। আর তা এবার নজরে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, দক্ষিণ 24 পরগনার একটি ওয়ার্ডে বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। আর্থিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে নানা অসামাজিক কাজের অভিযোগে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দিদিকে বলোতে ফোন করেছিলেন বেশ কিছু মানুষ। আর এসব ব্যাপার খতিয়ে প্রশান্ত কিশোরের টিম দেখছে যে, তৃণমূলেরই এক নেতা সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর হওয়ার কারণে, সেই কাউন্সিলরের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করতে তার অনুগামীদের দিয়ে এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। যা রীতিমত চোখ কপালে তুলে দিয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিমের। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনভাবেই যে মিটবে না, তা কার্যত এখন অনুভব করতে শুরু করেছেন তারা।

কেননা দিদিকে বলো কর্মসূচিও যেভাবে তৃণমূল তাদের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে ভেস্তে দেবে, তা বুঝতে পারেনি কেউই। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “একদিকে জনসংযোগ বেড়েছে, অন্যদিকে প্রশাসন এবং পৌরসভার সম্পর্কে মানুষের মনোভাবে বদল ঘটেছে। কিন্তু দিদিকে বলো জনপ্রিয় হতেই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেউ কেউ একে ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যেই তা টের পেয়েছে। কোনটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, আর কোনটি প্রকৃত অভিযোগ, তা পেশাদারদের আতসকাচে ধরা পড়ছে।”

কিন্তু শুধুমাত্র এই দিদিকে বলোকে হাতিয়ার করে যেভাবে তৃণমূলের এক নেতা অন্য নেতার প্রতি হিংসা করতে গিয়ে তাতে অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাতে কোনটা প্রকৃত অভিযোগ, তা কিভাবে ধরা পড়বে! এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলির এক তৃণমূল নেতা বলেন, “একাধিক ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যক্তিগত আক্রোশ যে নিতে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। অভিযোগের বিষয় যেমন আছে, তেমনই আবারও একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে। তাই খুব সতর্ক হয়ে চলতে হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরকম এক নেতা অপরনেতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে নিজের অনুগামীদের দিয়ে ফোন করায়, তাহলে তো প্রশান্ত কিশোর অনেক ক্ষেত্রেই দলের কাছে সেই নেতা সম্পর্কে অভিযোগ দিতে পারে, আর তাতে তো ভালো হয়ে ওঠে নেতাদের মাশুল গুণতে হতে পারে। এখন কিভাবে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি সঠিকভাবে রূপায়িত করা যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!