এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > তথ্য তুলে ধরে অমিত মিত্র প্রমান করে দিলেন বাংলার অর্থনীতি ‘সাবলম্বী’ হওয়ার পথে

তথ্য তুলে ধরে অমিত মিত্র প্রমান করে দিলেন বাংলার অর্থনীতি ‘সাবলম্বী’ হওয়ার পথে


বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেন রাজ্যের সবথেকে ‘ধারালো’ অর্থমন্ত্রীর নাম অমিত মিত্র, কেননা তিনি শুধু ‘ধার করেই’ রাজ্যটা চালাচ্ছেন। কিন্তু অর্থ দপ্তরের একের পর এক তথ্য তুলে ধরে তিনি প্রমান করে দিলেন বাংলার অর্থনীতি এবার সত্যিই সাবলম্বী হওয়ার পথে। কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন –

১. আমরা বাম আমলের বিশাল ঋণের বোঝা নিয়ে কাজ করছি
২. কেন্দ্রীয় সরকার আইসিডিএস, আশা সহ নানা প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক প্রকল্পের শেয়ার কমিয়ে দিয়েছে
৩. আমরা নিজেদের রোজগার বাড়িয়েছি, যা দিয়ে আমরা কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথি প্রকল্প চালাচ্ছি
৪. আশা কর্মীদের বেতন বন্ধ করিনি, উল্টে টাকা বাড়িয়েছি
৫. নিজেদের মতো পথ করে আয় বাড়িয়েছি, যা দিয়ে প্রকল্পগুলি চলছে এবং চলবে

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সকল দাবিকেই মান্যতা দিয়ে অর্থ দপ্তর জানাচ্ছে –

১. আর্থিক শৃঙ্খলায় নজির সৃষ্টির জন্য গত আর্থিক বছরের আয়ের থেকে এ বছরের আয় অনেক বেড়ে যাবে
২. এই আর্থিক বছরে বাড়তি কোনও ঋণ নেওয়া হচ্ছে না
৩. রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের তিন শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়, যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা
৪. কিন্তু, ৩১ মার্চ পর্যন্ত তার ধারেকাছে পৌঁছবে না রাজ্য, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা, সেই টাকার ৩০ শতাংশ উন্নয়ন খাতে ব্যয় করাও হচ্ছে
৫. ঋণ শোধ করার পাশাপাশি মূলধনী ব্যয় ও পরিকল্পনা খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার

অর্থদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগের ফলে গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজস্ব রাজস্ব যা আদায় হয়েছিল, তার তুলনায় এবছর ওই একই সময়ে আয় অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। একের পর এক হিসেবে তুলে ধরে অর্থদপ্তর জানিয়েছে –

১. স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি খাতে আয় বেড়েছে ১৭%
২. এক্সাইজ ডিউটি থেকে আয় বেড়েছে ৯৩%
৩. মোটর ভেহিকেল ট্যাক্স বাবদ আয় বেড়েছে ২৬%
৪. ইলেকট্রিসিটি ডিউটি থেকে আয় বেড়েছে ১৪০%
৫. এন্ট্রি ট্যাক্স থেকে আয় বেড়েছে ১৭১%

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ এবং আর্থিক শৃঙ্খলার জন্যই এই আয় বেড়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১০-১১ সালে মূলধনী ব্যয় ছিল ২,২২৫ কোটি টাকা যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১১,৩৩৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে, পরিকল্পনা খাতে ব্যয় ২০১০-১১ সালে ছিল ১৪,৬১৫ কোটি টাকা যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৪৯,০৯০ কোটি টাকা। এর থেকে স্পষ্ট, আগের সরকারের বিশাল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও মূলধনী এবং পরিকল্পনা ব্যয়ের মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!