এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপ ঘোষের সাথে এক মঞ্চে, দলের রোষানলে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, সৌজন্যে উধাও! প্রশ্ন একাংশের

দিলীপ ঘোষের সাথে এক মঞ্চে, দলের রোষানলে হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক, সৌজন্যে উধাও! প্রশ্ন একাংশের

 

বিরোধী দলে থাকার সময় হোক বা ক্ষমতায় থাকার সময়, বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সৌজন্যের প্রতীক” বলে দাবি করতে দেখা যায় তার দলের নেতা-নেত্রীদের। তবে শুধু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নয়, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষ চাক্ষুষ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সৌজন্যতা। যেখানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অহিনুকুল সম্পর্ক থাকলেও, সেই বুদ্ধদেব বসুর জন্মদিনে তাকে ফুল-মিষ্টি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যা নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছিল সকলের। সকলেই ভেবেছিলেন, এবার হয়ত রাজনীতিতে ধীরে ধীরে সৌজন্য ফিরে আসছে।

এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তার দলের অনেক নেতা, বিধায়কেরাও বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ও করা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের তরফে বিরোধীদের সঙ্গে সেই সৌজন্যতায় হয়ত এবার ছেদ পড়তে চলেছে। সূত্রের খবর, এবার মেলার উদ্বোধনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের সাথে বসায় দলের শাস্তির মুখে পড়তে হল এগড়ার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঐতিহ্যমন্ডিত এগড়া মেলার উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেই অনুষ্ঠানে দীলিপবাবুর পাশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগড়ার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস। এছাড়াও এগড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের ব্লক নেতারাও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে বিজেপির দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রীতিমতো খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা যায় তৃণমূলের সমরেশ দাসকে। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে এইভাবে খোলামেলা বলে কথা বলাই হয়ত বা কাল হল তৃণমূল বিধায়কের। আর তার কারণেই এবার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে শোকজ হলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু সমরেশবাবুই নয়, জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য এগড়া ওয়ান ব্লকের সভাপতিকে অপসারিত করা হয়েছে। এছাড়াও এগড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা এবং কাউন্সিলার হরিপদ বেরাকেও তিরস্কার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার বঙ্গ রাজনীতিতে সৌজন্যতা উঠে যেতে চলেছে! শুধুমাত্র বিরোধীদলের নেতার সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে থাকার জন্যই কি তৃণমূল নেতৃত্বের রোষের শিকার হতে হল তৃণমূল বিধায়ককে?

কিন্তু অনেকে বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় তার দলের সকলকে সৌজন্যতার পাঠ দিয়েছেন, সেখানে তার দলের বিধায়ক যদি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে থাকেন, তাহলে এতে অপরাধ কোথায়! এদিন এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “অনুষ্ঠানের ছবি এবং বিধায়ক সহ দলের পদাধিকারীদের রেকর্ড করা বিবৃতি আমাদের হাতে এসেছে। রাজ্য সভাপতির নির্দেশেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে এগড়ার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাজনীতির জায়গা নয়। দিলীপ ঘোষ এলাকার সাংসদ। অতিথি হিসেবে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভাতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।” তাই দিনের শেষে যদি শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে থাকার জন্য তৃণমূল নেতাদের দলের তরফে এহেন রোষানলের শিকার হতে হয়, তাহলে সেই তৃণমূলের দৃষ্টিকোণ নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!