এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > দিলীপের উপর হামলা! জনগনের ঘাড়ে দোষ চাপাল তৃণমূল! ঠাণ্ডা মাথায় পাল্টা ঝড় তুললেন খোদ দিলীপই

দিলীপের উপর হামলা! জনগনের ঘাড়ে দোষ চাপাল তৃণমূল! ঠাণ্ডা মাথায় পাল্টা ঝড় তুললেন খোদ দিলীপই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন যে তৃণমূল বনাম বিজেপির নির্বাচনী লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অকথ্য অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিল বিজেপি। তার রেস পেরোতে না পেরোতেই গতকাল শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখানো ও তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে এলো তৃণমূল শিবিরের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত গতকাল শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের সাহাপুরে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সমর্থনে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে সভাস্থলে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর কনভয়ের উপরে হামলা করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, সভায় আসার পূর্বে যে এভাবে আক্রমণের সম্মুখীন হতে হবে, ইট পাথরের আঘাত সহ্য করতে হবে তা তিনি জানতেন না। তৃনামলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানান যে, তৃণমূল কর্মীরা কালো পতাকা ও তৃণমূলের পতাকা নিয়ে আক্রমণ করেছে বিজেপি কর্মী সদস্যের উপরে। তৃণমূলকে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, এভাবে আক্রমণ করে বিজেপিকে রোধ করা যাবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের এই সভা থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্য পুলিশকে একযোগে আক্রমণ জানালেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” কলকাতায় নাবন্ন অভিযানে বিশাল সভা থেকে পুলিশ, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। আমাদের এখানে আমাদের চার-পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের বন্ধুদের বলছি, আমরা খুব ভদ্রলোক। আমাদের খারাপ করবেন না। খারাপ করলে আপনাদের কপালে সব থেকে বেশি কষ্ট হবে।” অন্যদিকে গতকাল এই সভা থেকে রাজ্য সভাপতির চলে যাবার পর তাঁর উপর হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপির সদস্যরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গতকালের এই ঘটনার জন্য তৃণমূল দায়ী করেছে জনরোষকে। রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র দেবু টুডু জানিয়েছেন যে, গতকালের ঘটনা ছিল বাঙালি বিদ্বেষী ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষের প্রতিবাদ। তিনি দাবি করেছেন, এদের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ সমস্ত স্থানে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গকে যারা কলুষিত করতে চায়, যারা বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে চায়, সেই বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার সাধারন মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। তাঁর দাবি, তৃণমূলের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত ছিল না। যা করেছে তা সাধারন মানুষই করেছে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, সাধারণ মানুষকে কখনোই আটকাতে যাবে না তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!