বছর ঘুরলেই বিধানসভা! গেরুয়া ঝড় তুলে মমতাকে টেক্কা দিতে সরাসরি আসরে নামতে চলেছেন স্বয়ং মোদী তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই শারদ উৎসব। আর সেই শারদ উৎসব মিটে গেলেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি বাংলায় ভালো ফল করতে ব্যাপক তৎপরতা অবলম্বন করেছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত প্রতিপক্ষ যেখানে রয়েছে, সেখানে বিজেপির তরফে বাংলায় পরিবর্তন আনার জন্য প্রধান মুখ কে হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিনের একটা বড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে আসরে নামতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, আগামী মহাষষ্ঠীতে মায়ের বোধনের দিন ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তার। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার আবেগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু দুর্গাপুজোতে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ময়দানে নামতে চলেছেন, তাতে এই গোটা ঘটনা যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে ঝড় তোলার একটা বড়সড় ইঙ্গিত, তা বলাই যায়। সূত্রের খবর, আগামী 22 অক্টোবর সন্ধ্যায় দু একটি পুজো কমিটির ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যেখানে কয়েক মিনিটের ভাষণ দেবেন তিনি। একাংশ বলছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে দুর্গাপুজোর সময় ছুটি দেওয়া হচ্ছে না বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ তুলে বাংলার মাটিতে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই সেই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে ময়দানে নামিয়ে বিজেপি বাংলার তৃণমূল সরকারের এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে উপস্থাপিত করতে চাইছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকে আবার বলছেন, বাংলায় যেমন বিজেপি তাদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে, ঠিক তেমনই দুর্গাপুজোর মধ্যে দিয়েও নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর তাই বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবকে হাতিয়ার করে এবার ময়দানে নেমে বাংলার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “আম বঙ্গবাসীর আবেগে জড়িয়ে রয়েছে দুর্গাপুজো। মহামারী পরিস্থিতিতে পূজার্চনায় ন্যূনতম ঘাটতি থাকুক, চান না প্রধানমন্ত্রী। আমরা প্রাথমিকভাবে কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় চার-পাঁচটা পুজো কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামী 22 অক্টোবর সন্ধ্যায় তার মধ্যে দু’একটি পুজো কমিটির পুজো উদ্বোধন করবেন মোদীজি। কয়েক মিনিটের ভাষণ দেবেন। যদিও সেখানে রাজনীতির কচকচানি থাকবে না। বরং বাংলার সংস্কৃতি, আধ্যাত্বিক ঐতিহ্য এবং পূজাপাঠের সনাতনী ধারার কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।” অনেকে বলছেন, বিভিন্ন সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপির যে সমস্ত নেতারা বাংলা দখল করতে চাইছে, তারা সকলেই হিন্দিভাষী। তারা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে সবথেকে বেশি আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার বাংলার সবথেকে শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজায় যেভাবে শামিল হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যে পুজো উদ্বোধনের দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোর টেক্কা দিতে চলেছেন, তা বলাই যায়। আর প্রধানমন্ত্রীর এভাবে দুর্গাপুজো উৎসবকে কেন্দ্র করে ময়দানে নামা যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, সেই বিষয়টি নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -