কে কত খরচ করেছেন সেই হিসাব নিয়ে আগামীকাল বসছেন মুখ্যমন্ত্রী, থরহরি কম্প সব দপ্তর কলকাতা রাজ্য June 9, 2019 আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন নবান্নে। এই বৈঠকে গত ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত কোন দপ্তর কত টাকা খরচ করেছে, তার হিসাব নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন দপ্তরের কাজের পর্যালোচনাও করবেন তিনি। গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ কার্যত থমকে ছিল লোকসভা ভোটের জন্য। এই বৈঠক থেকে মমতা এবার দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করার জন্য বার্তা দিতে চান বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। আলোচনায় উঠে আসবে, কোন কাজকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেটাও। মুখ্যমন্ত্রী গত জানুয়ারি মাসের পর আবার সব দপ্তরের প্রধান সচিব ও মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন আগামীকাল। এদিনের এই বৈঠকে আরো যারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে তারা হলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনাররাও। আর্থিক বছরের শুরুতেই ১ এপ্রিলই সব দপ্তর কে ৭০% টাকা দেওয়া হবে। গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেন। তাই ৫২ টি অধিদপ্তরকে ইতিমধ্যেই টাকাও দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের বরাদ্দের ৩৩% টাকা আগে দেওয়া হতো ১ এপ্রিল। কোন দপ্তর কত টাকা খরচ করেছে গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে তার একটি রিপোর্ট কার্ড মুখ্যমন্ত্রী হাতে তুলে দেওয়া হয়। যে সকল দপ্তর এই রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের বরাদ্দকৃত পুরো টাকা খরচ করতে পেরেছে তাদেরকে স্টেট প্ল্যান হেড থেকে ১০০% টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বাকিরা যারা পুরো টাকা খরচ করতে পারেনি, তাদেরকে দেওয়া হয় ৯০% টাকা বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই ফর্মুলা মেনে একটি নির্দেশিকা জারি করে ১৩ টি দপ্তরকে ১০০% টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। যে দপ্তরগুলি ওই তালিকায় ছিল সেগুলি হল পঞ্চায়েত, পুর-নগরোন্নয়ন, পূর্ত, কৃষি, খাদ্য, সেচ, শিক্ষা, নারী ও শিশু কল্যাণ, আবাসন, স্বাস্থ্য, জল সম্পদ উন্নয়ন প্রভৃতি। পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে এই ১০০% টাকা দেওয়া হয়। এই খাতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-পেনশন দেওয়া হয়। সময় মত টাকা পাওয়া যেতো না, এই অভিযোগ উঠতো বাম আমলে। এই অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আমলে অবশ্য কেউ দিতে পারবেন না বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী গত ৮ বছরে রাজ্য থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত প্রায় দেড়শোর বেশি প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। তবে প্রায় ছয় মাস পর এই প্রথম টাকা খরচের পর্যালোচনা করবেন তিনি। তাই প্রতিটি দপ্তরে তৎপরতা তুঙ্গে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। প্রত্যেক প্রধান সচিবরা একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। তাতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন কত টাকা খরচ করতে পেরেছেন, কত টাকা খরচ করতে পারেননি এবং কেন পারেননি। অর্থ দপ্তর এর পাশাপাশি একটি রিপোর্ট কার্ডও তৈরি করেছে। তবে অফিসারদের ধারণা, এবার নির্বাচন থাকার কারণে মার্কশিট এর ফলাফল দেখে বকাঝকা কম হতে পারে। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের প্রয়োজনে ভবিষ্যতের কাজের জন্য নির্দেশিকা জারি করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন সভাঘরে সোমবার বেলা একটায় প্রশাসনিক রিভিউ মিটিং করবেন বলে জানা গেছে। এরপর বেলা চারটেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা এবং সাড়ে চারটেয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক হবে। আপনার মতামত জানান -