এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দশমীর হুল্লোড়ে উবে গেল করোনা সচেতনতা! সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে আকাশছোঁয়া? বাড়ছে আতঙ্ক?

দশমীর হুল্লোড়ে উবে গেল করোনা সচেতনতা! সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে আকাশছোঁয়া? বাড়ছে আতঙ্ক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, এবার হয়ত মা দুর্গার অসুর বধ দেখবে না বাঙালি। বরঞ্চ ঘরে থেকে করোনা সুরকে বধ করতেই সবথেকে বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা যাবে আমজনতাকে। কিন্তু এটা বাংলা। জাতির নাম বাঙালি। তাই বারো মাসে তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠ উৎসবের একদম শেষ লগ্নে আর ঘরে থাকতে না পেরে জমায়েত করে ফেললেন সাধারণ মানুষ।

যা দেখে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে চিকিৎসক প্রত্যেকের চোখ কপালে উঠতে শুরু করেছে। হাইকোর্টের রায়দান, সমস্ত বিধি-নিষেধকে কার্যত উপেক্ষা করে অষ্টমীর সন্ধ্যা থেকেই ধীরে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে পূজামণ্ডপগুলোতে। আর নবমী নিশি না পোহাতে পোহাতেই সকাল পড়তেই বাড়ির বাইরে বেরোনোর জন্য মন আনচান শুরু হয়। বাঙালির সিঁদুর খেলা থেকে শুরু করে নদীর ঘাটে ভিড় জমানো, কোনো কিছুতেই আটকানো যায়নি সাধারণ আমজনতাকে।

বস্তুত, দশমীর দিন কলকাতায় কোনোরকম শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে শোভাযাত্রা হতে দেখা যায়নি। কিন্তু কলকাতা শহরের বিভিন্ন জেলায় বিসর্জনের ঘাটে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে চোখে পড়ার মত। লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দশমীতে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন করা যাবে না। তবুও বেশ কয়েকটি ঘাটে ভিড় চোখে পড়েছে। ছোটো ঘাটগুলোর তুলনায় বড় ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনে বেশি লোক আসতে দেখা গেছে।

আপনি কি বলছেন উৎসবের শেষ বেলাতে আর প্রশাসনের কোনো রকম বিধিনিষেধ তোয়াক্কা করেননি সাধারন মানুষ প্রথমে গুটিয়ে থাকলে অষ্টমী থেকেই তারা উৎসবের আনন্দে মধ্যে শুরু করেছেন আর দশমীতে তার চূড়ান্ত মাত্রা ধারণ করল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঘরের মেয়ে উমাকে বিদায় জানাতে গিয়ে সাধারন মানুষ কি করোনাসুরকে আহ্বান জানাল না? অনেকে বলছেন, উমা আবার পরের বছর আসবে। কিন্তু তার আগে যদি করোনাসুরের দাপট বাড়তে থাকে, তাহলে কিভাবে পরের বছরের পুজো আনন্দের সঙ্গে পালন করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন অব্যাহত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চোখে পড়ার মত ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কোচবিহারের বড়দেবীর বিসর্জনে সমস্ত নিয়ম বিধি অমান্য করেন সাধারণ আমজনতা। মুর্শিদাবাদেও একই অবস্থা। এদিকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে দেবীবরণে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও সকালের পর থেকে ধীরে ধীরে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। এদিকে দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে সিঁদুর খেলায় কোনো রকম বারণ না থাকলেও, আশা করা হয়েছিল, এবার অনেকেই সেভাবে সিঁদুর খেলায় মাতবেন না। কিন্তু সেখানেও বাড়ির মহিলাদের উৎসাহ করোনাতঙ্ককে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কালনার কলেজছাত্রী জয়িতা পাল বলেন, “মন্ডপে মাক্স পড়ে এসেছিলাম। কিন্তু মাক্স পড়ে তো সিঁদুর খেলা করা যায় না। তাই ওইটুকু সময় মাস্ক খুলে নিয়েছি।” এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি পালন করার কথা বলা হলেও, তা বিন্দুমাত্র চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে ষষ্ঠী থেকে সপ্তমী অব্দি মানুষ গৃহবন্দি থাকলেও, অষ্টমীর সন্ধ্যে থেকে যে ভিড় চোখে পড়েছিল, দশমীতে গিয়ে তা চূড়ান্ত আকার ধারণ করল। যার ফলে আগামী দিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!