রাম মন্দির উদ্বোধনেও জ্বালা শুরু, জবাব দিয়ে তেড়েফুঁড়ে উঠলেন শুভেন্দু! জাতীয় বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 14, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রায় 500 বছর পর দেশের সনাতনী সংস্কৃতি রক্ষা হতে চলেছে। উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। আর তা নিয়েই সকলে মুখিয়ে রয়েছেন। ঘরে ঘরে চলছে রাম ভজনা, উৎসবের আবহ। আর এর মধ্যেই কেউ কেউ এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। হঠাৎ করেই পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। যখন সকলেই রাম মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন, তখন তিনি কি করে এই ধরনের কথা বললেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রবল ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তার মতে, সবকিছুতে দখলদারি করা উন্মাদের লক্ষণ। কিন্তু তিনি এখন এইসব কথা বললেও, যখন এই রাম মন্দির স্থাপনের ক্ষেত্রে জয় ছিনিয়ে আনার জন্য একের পর এক মুনি ঋষিরা লড়াই করেছিলেন, তখন কোথায় ছিলেন? এখন যখন প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, যখন মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় গোটা দেশ, তখন এই সমস্ত কথা বলার অর্থ কি? এদিন সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করতেই তিনি যে জবাব দিয়েছেন, তাতে ব্যাপক খুশি হিন্দু সনাতনীরা। তারা বলছেন, একেই বলে মুখের মত জবাব। প্রসঙ্গত, এদিন পুরীর শঙ্করাচার্যের বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি রেয়াপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ সাফ প্রক্রিয়া কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে চাঁচছোলা জবাব দেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সকাল বেলা মন্দিরের সামনে এই সমস্ত লোকের কথা বলবেন না। ওনাকে আমরা মাথায় রাখি। কিন্তু রাম মন্দিরে এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন, লড়াই করেছেন মহন্ত নিত্য গোপাল দাস। রাম ভদ্রাচারি প্রভু দুই চোখে না দেখা সত্ত্বেও তিনি সাত দিন ধরে সাক্ষী দিয়েছেন। ফলে সেই সময় এই সমস্ত লোকেরা কোথায় ছিলেন? তাই সকাল বেলা এই সমস্ত জালি হিন্দু, পাপী লোকেদের কথা বলবেন না।” অনেকে বলছেন, হিন্দু ধর্মের শংকরাচার্যকে নিয়ে এই বক্তব্যের পর হয়ত শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অনেকেই লেগে যাবে। অনেকেই বলতে শুরু করবেন, তিনি হিন্দু বিরোধী। কিন্তু যারা বলবেন, তারা কতটা হিন্দুপ্রেমী, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। কিছু বিরোধী নেতারা আজকে এই রাম মন্দির উদ্বোধনে শুধু অংশ নিচ্ছেন না, তারা এর বিরোধিতা করছেন বা তাদের মধ্যে উৎসাহ নেই। কিন্তু দেশের মানুষ মুখিয়ে আছেন, এই রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য। ঘরে ঘরে পঞ্চ প্রদীপ জ্বালানোর অপেক্ষায় রয়েছেন হিন্দুপ্রেমী সনাতনী ধর্মের সাধারণ মানুষেরা। আর সেই সময় পুরীর শঙ্করাচার্যের এই ধরনের বক্তব্য সত্যিই কাম্য নয় বলেই মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এখন শংকরাচার্যের এই ধরনের কথা বলার অর্থ কি,? তার তো এই রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত। দেশের সনাতন হিন্দুরা উৎসবের মেজাজে রয়েছেন। 500 বছর পর দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। যখন বাবর এই রাম মন্দির ধ্বংস করেছিল, তখন যত হিন্দু মারা গিয়েছিলেনড় তাদের জন্য কি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই? ফলে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশে যখন রামলালা তার মন্দিরে ফিরছেন, তখন এই ধরনের কথা বলার অর্থ বোকামো ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, কে কি বললো, তাতে সত্যিই কি কিছু এসে যায় না। কারণ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে রাম মন্দির উদ্বোধনের মত পবিত্র দিনের। ফলে সেই সময়ে পুরীর মন্দিরের শংকরাচার্যের এই বক্তব্য অনেকের মনে হয়ত ব্যথা দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তাকে পাল্টা কটাক্ষ করে যে জবাবটা দিলেন, তা সত্যিই মনে রাখার মত। একেই হয়ত প্রকৃত সনাতনী হিসেবেই ব্যাখ্যা করা যায়। নিজের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজের ধর্মের জন্য যখন কিছু হচ্ছে, তখন তার বিরোধিতা না করে তার পক্ষে থাকতে হয়। কিন্তু শংকরাচার্যের বক্তব্য শুনে কোথাও যেন একটা খটকা তৈরি হলো। তার মত ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে আর যাই হোক, এটা কিছুতেই আশা করা যায় না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন হিন্দুপ্রেমী সনাতনীরা। আপনার মতামত জানান -