এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মোদীর জন্যই রাম মন্দির! গর্বিত হিন্দুরা, শুভেন্দুর বক্তব্যে খুশি সনাতনী সমাজ!

মোদীর জন্যই রাম মন্দির! গর্বিত হিন্দুরা, শুভেন্দুর বক্তব্যে খুশি সনাতনী সমাজ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশে তো এতদিন অনেক শাসক এসেছে। কিন্তু রাম মন্দির হওয়ার মত প্রতিশ্রুতি কেউ দিতে পারেনি আর কেউ সেটা করেও দেখাতে পারেনি। কিন্তু 2014 সালের আগে বিজেপি তাদের নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা ক্ষমতায় এলে রাম মন্দির হবে। হাতে আর কিছুদিনের অপেক্ষা। আগামী 22 জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। তবে কিছু সেকুলার মানুষজন আছেন, যারা দেশের হিন্দুদের এই ভালো দিকটা দেখে সহ্য করতে পারছেন না। তারা অকারণের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। তবে এই সবকিছুতে কান না দিয়ে দেশের সনাতনী সংস্কৃতিতে যারা বিশ্বাস করেন, সেই সমস্ত মানুষজন বলছেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং তারপরেই এই রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে। ফলে যে কথাটা বিজেপি প্রচার করে যে ,মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, সেটা অতি বাস্তব বলেই মনে করছেন একাংশ। এদিন সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বড় দাবি করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, নরেন্দ্র মোদী ছিলেন জন্যই আজকে দেশে রাম মন্দির হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমত বিজেপি নেতারা বিভিন্ন মন্দিরে মন্দির সাফ কর্মসূচিতে অংশ নেন। যেখানে রেয়াপাড়ায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সমালোচকদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। শুভেন্দুবাবু বলেন, “নরেন্দ্র মোদী না থাকলে এই সেকু, মাকুরা কোনদিন রাম মন্দির করতে পারতেন না। নরেন্দ্র মোদি ছিলেন বলেই আজকে রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে।” অনেকে বলছেন, এটা তো অত্যন্ত সত্যি কথা, বাবর এই এলাকা দখল করার পর কত হিন্দুর প্রাণ দিয়েছে, তা তো ইতিহাসের পাতাতেই লেখা রয়েছে। কিন্তু তারপর বহুদিন চলে গিয়েছে। তবে কেউ এই দিকটাতে নজর দেয়নি। কিন্তু ভারতবর্ষের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল এই রাম মন্দির উদ্বোধনের বিষয়টি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত বহু লড়াইয়ের পর আদালত থেকে রায় নিয়ে এসে এই রাম মন্দিরে্য উদ্বোধন হচ্ছে। তাই এই সময় কিছু মানুষের গাত্রদাহ হলেও, তাতে কারওর কিছু যায় আসে না বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। তিন তালাক বিলোপ থেকে শুরু করে কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত এবং পরিশেষে রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করছে বিজেপি সরকার। তাই এই সময় কিছু মানুষ হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছেন। আসলে সুবিধাবাদী রাজনীতি করার জন্যই কেউ কেউ এর অযথা বিরোধিতা করছেন। তবে এসব করে লাভ হবে না। দেশের সনাতনী সংস্কৃতির মানুষরা ঐক্যবদ্ধ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী ঢাক ঢাক গুড় গুড় করার মত নেতা নন। তিনি যা বলার মুখের সামনে বলে দেন। রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে অনেকের হয়ত হিংসা হচ্ছে‌। বিরোধী অনেক নেতা-নেত্রী হয়ত জ্বলে পুড়ে যাচ্ছেন যে, তারা যে কাজ করতে পারলেন না, সেই কাজ করে তো নরেন্দ্র মোদী এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার চমকে দিলেন। কিন্তু হিংসা না করে যদি তারা এই কর্মসূচির পাশে থাকতেন, তাহলে হয়ত তাদের পাশেই মানুষ থাকত। কিন্তু অযথা কাউকে কাউকে দিয়ে এই গোটা ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলিয়ে বিরোধীরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন। তবে এসব তো রাজনীতির কথা। কিন্তু হিন্দু ধর্মকে রক্ষার জন্য হিন্দুদের বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির উদ্বোধন, যদি একটু গভীরে গিয়ে ভেবে দেখা যায়, তাহলে সত্যিই এই কাজ সম্ভব হচ্ছে দেশের শক্তিশালী নেতা নরেন্দ্র মোদীর জন্য। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!