এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার জন্যই বিপদে পড়বে এসএসকেএম? চরম অস্বস্তিতে তৃনমূল! চাপে ফেললো বিজেপি!

মমতার জন্যই বিপদে পড়বে এসএসকেএম? চরম অস্বস্তিতে তৃনমূল! চাপে ফেললো বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় দুর্নীতি সংঘঠিত হওয়ার পরেও, মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে পারছেন না। তার দলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী গ্রেপ্তার হচ্ছেন। অথচ তিনি বড় বড় গলায় দাবি করে যাচ্ছেন, তার দলের সবাই নাকি সৎ। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয় যাদের মধ্যে রয়েছে কিংবা যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের অনেককেই দেখা যাচ্ছে, অসুস্থতার ভান করে তারা চলে যাচ্ছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। কালীঘাটের কাকু থেকে শুরু করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সকলের ক্ষেত্রে একই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে সেই এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এবার সেই বিষয় নিয়েই বোমা ফাটালেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যেভাবে এসএসকেএম হাসপাতালকে ব্যবহার করছেন তৃণমূল নেতারা এবং অসুস্থতার নাটক করছেন, তার জন্য ভবিষ্যতে বেশ কিছু চিকিৎসককেও চাপে পড়তে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি। আর এর ফলেই মনে করা হচ্ছে যে, এবার তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে গিয়ে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে এই নামজাদা হাসপাতাল।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয় নিয়ে শান্তনু ঠাকুরকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং অসুস্থ বলছেন, বাইরের কোনো হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করালেই দেখা যাবে, তাদের সবকিছু ঠিক রয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতাল তো সরকারি প্রতিষ্ঠান। ওইখানে বেশ কিছু চিকিৎসককে টার্গেট করেছে ইডি। কেননা এভাবে তৃণমূল নেতাদের বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা মিথ্যা কথা বলছেন। ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।” একাংশ বলছেন, সত্যিই এমনটাই উচিত। কারণ মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত যেভাবে চলছে, তাতে দোষীদের শাস্তির দাবি করছেন। কিন্তু সেই সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থতার নাটক করে সেই দোষীরা যদি হাসপাতালের বেডেই শুয়ে থাকেন, আর সাধারন মানুষ বেড না পান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া উচিত। আর যারা তৃণমূল নেতাদের বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে ভালো হওয়ার জন্য কাজ করছেন এবং এই এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দরকার বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এসএসকেএম হাসপাতাল তো এখন চোরেদের একমাত্র ঠিকানা হয়ে গিয়েছে। যারা চুরি করেছেন, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা বাঁচতে জেলে না থেকে সেই হাসপাতালকে সেফ বলে মনে করছেন। সেটাই এখন অনেক রাজনৈতিক নেতা প্রভাবশালীদের ঘরবাড়ি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ এদের চালাকি ধরে ফেলেছে। এই হাসপাতালকে যারা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন এবং যারা এই কাজ করতে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাদের সকলকে শাস্তি পেতে হবে। কেউ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করলে তার ফল ভয়ঙ্কর হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব জায়গায় দলীয় তন্ত্র বিস্তার করতে চাইছেন। পুলিশ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সবখানে তার দলের সম্পদরা যা বলবেন, সেটাই যেন শেষ কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই চুরি করে যারা জেলে যাচ্ছেন, তারাও শেষ ঠিকানা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এসএসকেএমে গিয়ে ভান করছেন অসুস্থতার। কিন্তু বাইরে যদি তাদের চেকআপ করা হয়, তাহলে অনেককেই পুরোপুরি সুস্থ হিসেবে দেখতে পাওয়া যাবে। স্বাভাবিকভাবেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে যখন দীর্ঘদিন এসএসকে হাসপাতালে থাকার পর আবার প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তখন সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে এই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, এবার শুধু জেলে যাওয়া চোরেরাই নয়, যে হাসপাতালে তারা অসুস্থতার ভান করে থাকছেন, সেখানকার একাধিক চিকিৎসকরাও চরম বিপাকে পড়তে পারেন। শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!