এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির দখলে ৩৫, লোকসভায় খাবি খাবেন মমতা! উজ্জীবিত পদ্ম শিবির!

বিজেপির দখলে ৩৫, লোকসভায় খাবি খাবেন মমতা! উজ্জীবিত পদ্ম শিবির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নিজের মত করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সব ঠিকঠাক থাকলে সঠিক সময়েই হবে নির্বাচন বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এবার বাংলাকে নিয়ে যেন বাড়তি উৎসাহ দেখা দিতে শুরু করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের মধ্যে। তারা এবার আশা করছে যে, বাংলার মানুষ যে পরিমাণ দুর্নীতি ভোগ করেছে, যে পরিমাণ অপশাসন ভোগ করেছে, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার তারা বিজেপিকে প্রচুর আসন এই লোকসভায় দেবে। ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, বলা ভালো অমিত শাহ রাজ্য বিজেপিকে টার্গেট দিয়েছেন যে, বাংলা থেকে 35 টির বেশি আসন কেন্দ্রের হাতে তুলে দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি।

কিন্তু সত্যিই কি এত আসন দখল করা সম্ভব হবে? কারণ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, বিজেপি এই রাজ্যে বুথ কমিটি পর্যন্ত গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে তারা লোকসভায় কোনোমতেই ভালো ফল করতে পারবে না। কিন্তু অপরপক্ষের এটাও যুক্তি যে, এই তৃণমূল তো গত লোকসভায় ৪২ এ ৪২ শ্লোগান দেওয়ার পরেও অনেক আসনে পরাজিত হয়েছিল। তারা ভাবতেই পারেনি যে, বিজেপি এত আসন পেতে পারে। তাই এবার তাদেরকে আরও ধাক্কা দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করে দেবে যে, এই রাজ্যে তারা কতটা শক্তিশালী। আর লোকসভায় যদি তারা তাদের টার্গেটে পৌঁছতে পারে, আগামী বিধানসভায় তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করা তাদের কাছে কোনো বিষয় নয় বলেই মনে করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর যে দাবি করলেন, তাকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বড় দাবি করে বসেন। তার স্পষ্ট দাবি, এবার বিজেপি বাংলা থেকে 35 টি আসন পাবে, এটা এক প্রকার গ্যারান্টি। অনেকে বলছেন, পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের যে সমস্ত নির্বাচন রাজ্যে হয়েছে, সেখানেও বিজেপি ভালো ফলাফল করত। কিন্তু রাজ্য পুলিশ দিয়ে এবং গুন্ডাদের দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার কারণেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি। যার ফলে প্রকৃত ফলাফল প্রতিফলিত হয়নি। কিন্তু লোকসভায় তা হবে না। লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তাই সেখানে কারচুপি করতে এলে তৃণমূলকে শায়েস্তা করার মত ওষুধ জানা আছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ একবার তাদের নির্বাচনী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারলে বিজেপিকে এই রাজ্যে কেউ আটকাতে পারবে না বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, লজ্জা থাকা উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের। এরপরে লোকসভায় তাদের নেতাদের আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার মত ক্ষমতা নেই। কারণ তারা যে পরিমাণ দুর্নীতি এই রাজ্যে করেছে, বেকারদের যেভাবে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছে, তাতে তাদের এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। এই রাজ্যে তখনই সুদিন ফিরবে, যখন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তাই লোকসভা থেকেই শুরু হবে সোনার বাংলা গঠনের প্রক্রিয়া। এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি কেন্দ্রের বেধে দেওয়া টার্গেট পূরণ করে বাংলার মানুষকে সুশাসন দেওয়ার পথে সংকল্প নেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে এই রাজ্যে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল যে পরিমাণ যন্ত্রণা সাধারণ মানুষকে দিয়েছে, তাতে জনতা জনার্দন মুখিয়ে আছে, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে এই তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। কিন্তু যে রাজ্যে ভোট হয় না, সেখানে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ হবে কি করে? যেখানে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, সেখানে মানুষ তাদের মতামত দেবেন কি করে? তাই অপেক্ষা লোকসভা নির্বাচনের। আর সেই নির্বাচনে মানুষ যদি তার ভোট দিতে পারেন, তাহলে বিজেপিকে আর ফিরে তাকাতে হবে না। তাই এই সমস্ত ভাবনাকে মাথায় রেখেই বিজেপি ধরেই নিয়েছে যে, তারা এই রাজ্য থেকে এবার 35 টি আসন দখলে রাখবে। শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!