এবার ‘নেপোটিজমের’ বিস্ফোরক অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধ্বস্ত করলেন রাজ্যপাল, শোরগোল রাজ্যে কলকাতা রাজ্য June 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বলিউডের সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর পর তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে নেপোটিজম নিয়ে। বিতর্ক এখনো সেখানে বিদ্যমান। কিন্তু নেপোটিজম প্রসঙ্গ এবার সরাসরি আরব সাগরের তীর ছেড়ে বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে করোনা আবহ সময়কাল থেকেই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। আমফান পরবর্তী সময়ে ত্রাণ বিলি নিয়েও একইভাবে সরব হয় রাজ্য প্রশাসনের প্রতি বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিলি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে জনগণের। আর সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এমনিতেই রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সম্পর্ক যে বিশেষ ভালো নয়, সে কথা এতদিনে সবাই জেনে গেছে। তাই এবার আবারো রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যে শোরগোল পড়বে, সে কথা বলাইবাহুল্য। সম্প্রতি রাজ্যপালের হাত ধরে বাংলার রাজনীতিতে ‘নেপোটিজম’ কথাটির অভিষেক হল বলে জানা গেছে। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, বাংলার সরকারের মধ্যেও চলছে নেপোটিজম। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর একটি টুইট করে আমফানের পরে ত্রাণ বিলি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। তিনি টুইটে সরাসরি লিখেছেন, যাঁরা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ তাঁদেরকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে চলছে নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ। পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজ্য প্রশাসনের দিকে অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া নিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জায়গায় ত্রাণ বিতরণ নিয়ে যে অশান্তি বেঁধেছে তার উল্লেখ করেছেন বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন সরাসরি রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এ রাজ্যে মমতা সরকার জরুরি অবস্থা চালাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসনকে শুধুমাত্র দলীয় কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই সিঙ্গুর থেকে পান্ডুয়া, বনগাঁ থেকে কাঁথি সর্বত্র আমফানের ত্রাণ বিতরণ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র গন্ডগোল। দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। দুর্নীতির অভিযোগে কোথাও সরব হয়েছে বিরোধী দল সিপিএম, আবার কোথাও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। অন্যদিকে জানা গেছে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সরাসরি রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এমনকি দলীয় স্তরেও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ত্রাণ নিয়ে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সঙ্গে সঙ্গে শোকজ করা হবে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে প্রায় দিনই বিতর্ক সূচক কথাবার্তা চলে। রাজ্যপাল এবং অন্যান্য বিরোধী দল যেভাবে রাজ্য প্রশাসনের প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে, সেদিকে নজর না দিলে পরবর্তীকালে জনমানসে বিক্ষুব্ধ মনোভাব পড়তে পারে। রাজ্যপালের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা মন্তব্য নিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বলে জানা গেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যপাল এবার যেভাবে কড়া সুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন তাতে এই বিতর্কের রেশ যে বহু দূর পর্যন্ত গড়াবে তা নিশ্চিত। আপনার মতামত জানান -