এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি! শান্তনু-জ্যোতিপ্রিয় তীব্র বাকযুদ্ধে শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে

জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি! শান্তনু-জ্যোতিপ্রিয় তীব্র বাকযুদ্ধে শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাংলার রাজনীতিতে চূড়ান্ত বাকযুদ্ধ শুরু হচ্ছে। এমনিতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় রাজনৈতিক দলগুলি এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনার প্রহর গুনছে। তার মধ্যেই সম্প্রতি চলছে রাজনৈতিক শিবিরগুলোতে দলবদল আর সেই দলবদলকে কেন্দ্র করেই নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক অলিন্দে। এবার সরাসরি রাজ্যের শাসক দলের মন্ত্রীকে আক্রমণ করে বসলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। মনে করা হচ্ছে বেশ কিছুদিন আগে রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর হাত ধরে বনগাঁয় ব্যাপক আকারে দল বদল ঘটেছে বিজেপি থেকে। অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

সেই ঘটনার রেশ টেনে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সরাসরি আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রীকে। সম্প্রতি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে বুড়ো ঘোড়া বলে কটাক্ষ করেছেন আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি হাবরায় বিজেপির একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেই জানা গেছে প্রায় 1500 জন তৃণমূল কর্মী দলবদল করে বিজেপিতে এসেছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে, ওই কর্মীসভা থেকে সরাসরি বিজেপি সাংসদ মতুয়াদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং জানান, কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তীব্র শ্লেষের সাথে এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শান্তনু ঠাকুর মন্তব্য করেন, “পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষের অধিকার নাগরিকত্ব। দেশভাগের দ্বিজাতিতত্ত্ব অনুযায়ী এই অধিকার রয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএম এটা ভুলে গিয়েছিল। আর তৃণমূলের অতীত সম্পর্কে কোন জ্ঞানই নেই। সংবিধান কি ওরা জানে না। ফলে প্রতিবাদ করতে হয় তাই করে।” অন্যদিকে এদিন সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি শান্তনু ঠাকুর। এদিন তিনি বলেন, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নতির জন্য শুধুমাত্র মসজিদ করলে কোন লাভ নেই। বরং মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে রাজ্যের মুসলিমদের চরম দুর্দশার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

অন্যদিকে এই সভা থেকেই সরাসরি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে শান্তনু ঠাকুর ‘বুড়ো ঘোড়া’ বলে সম্বোধন করেন। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে গেরুয়া শিবির রাজ্যের শাসক দলের প্রতি আক্রমণের সুর চড়াচ্ছে প্রায় প্রতি মুহুর্তে, তা থেকে পরিষ্কার আগামী দিনের বাংলার মসনদ দখলের যুদ্ধ হতে চলেছে সেয়ানে সেয়ানে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গেরুয়া শিবির কিন্তু ঘাসফুল দুর্গে ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন ধরানো শুরু করেছে ব্যাপক আকারে। তবে কটাক্ষ এবং প্রতি কটাক্ষের ভিড়ে বঙ্গ রাজনীতি যে আবার বিতর্কের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!