এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার ভাইরাল হলো ঘুষের টাকা চেয়ে তৃণমূল নেতার চিঠি, শোরগোল রাজ্যে

এবার ভাইরাল হলো ঘুষের টাকা চেয়ে তৃণমূল নেতার চিঠি, শোরগোল রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবার কাটমানি নেবার অভিযোগ উঠে গেল জনৈক তৃণমূল নেতার নামে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির লেটার প্যাডে চিঠি লিখে জনৈক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাঁর বদলি আটকাতে চেয়েছেন বলে, উঠে এল গুরুতর অভিযোগ। এই গোপন চিঠি টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে ভূমি দপ্তরের অফিসের নোটিশ বোর্ডে। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গেল।

প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল পরিচালিত পটাশপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। গত জুলাই মাসে পটাশপুর ব্লক সভাপতির নামে আম্পান ও পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশনে দূর্নীতির গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তাঁকে ঘিরে শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ব্লক সভাপতিকে অপসারিত করা হয়। অন্যদিকে, পটাশপুর-২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক নির্ঝর বিশ্বাসের নামে একাধিক বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তাকে জেলা প্রশাসন এজন্য শোকজ করেছিল।

আধিকারিক নির্ঝর বিশ্বাসের নামে জমির মিউটেশন করানোর নামে ঘুষ নেবার অভিযোগ উঠেছিল। তাকে অপসারণ সহ শাস্তির দাবি জানিয়ে নবান্নে গণস্বাক্ষর দেওয়া আবেদন জমা পড়েছিল। এরপর অভিযোগ উঠেছে, এই আধিকারিককে তাঁর বদলি থেকে বাঁচাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাহু তার থেকে ঘুষ নিয়েছেন। চুক্তিমতো ঘুষের কিছুটা টাকা তিনি ইতিমধ্যেই নিয়েছেন। বাকি টাকা দ্রুত দেবার জন্য এই আধিকারিককে তিনি একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠি তিনি ওয়াসিম খানকে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই গোপন চিঠি কোনভাবে ফাঁস হয়ে যায়। এরপর গত শুক্রবার ভূমি দপ্তরের নোটিশ বোর্ডে এই চিঠি দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই চিঠিতে লেখা আছে, ” মাননীয় বিএল অ্যান্ড এলআরও পটাশপুর-২ প্রতাপদিঘি, জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। মহাশয়, আপনাকে জানাই যে আপনার সহিত ওয়াসিম খানের মাধ্যমে চুক্তি হইল, অফিসের নাম খারিজ কেসগুলি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রতি কেসে ১০০ (একশত) টাকা হারে আমাকে দেবেন এবং আপনার ট্রান্সফার রদ করা ব্যাপারে পাঁচ লক্ষ টাকা আমাকে দেবেন। আপনি ওয়াসিম খানের মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা আমাকে দিলেন, বাকি টাকা দিলেন না কেন? নাম খারিজ কেসগুলিতে যে কাটমানি টাকা ওয়াসিম খানের মাধ্যমে তুললেন তাহার এক টাকাও দিলেন না। আপনার টাকা না দেওয়ার কারণটা কি? পত্রবাহকের হাতে অদ্য পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠাবেন। যদি না পাঠান তাহা হইলে আমার পক্ষ হইতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব।”

এই চিঠি সামনে আসার পর তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত আধিকারিক নির্ঝর বিশ্বাসকে সাংবাদিকেরা ফোন করলেও ফোন সুইচ অফ ছিল তাঁর। মেসেজ করা হলেও, তার কোন উত্তর তিনি দেননি। অন্যদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত পটাশপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন সাহু জানিয়েছেন যে, কেউ তার স্বাক্ষর করা লেটার প্যাড নিয়ে, তাঁর লেখা বিকৃত করে তাঁকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করছে। এই চিঠির বিষয়টি তিনি কিছুই জানেন না। যারা এই কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী জানালেন যে, শাসকদল তৃণমূলের সব নেতাই সরকারি অফিসারদের পোষ্য করে রেখেছেন। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেবার নাম করে সরকারি অফিসারেরা ঘুষ নিচ্ছেন। এই সমস্ত অফিসার ও নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!