নাগেরবাজার বিস্ফোরণ কান্ডে নয়া মোড়, খুব শীঘ্রই চিহ্নিত হতে যাচ্ছে প্রধান ব্যক্তি কলকাতা রাজ্য October 6, 2018 নাগেরবাজার বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। প্রাথমিক তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে,দুর্ঘটনার দিন সকালে এলাকায় আইইডি রেখে গিয়েছিল স্থানীয় কেউ। তার সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন অপরিচিত লোক ছিল যাদের এলাকায় কোনো পরিচিতি নেই। ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছে সিআইডি অফিসাররা। গোপনীয়তার সঙ্গে তাদের সম্পর্কে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার কাজও সমানতালে চালাচ্ছে তদন্তকারী অফিসাররা। এই মুহূর্তে সিআইডি কর্তাদের কাছে দুটি প্রশ্ন অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ১.এই বিস্ফোরণের পেছনে কাদের হাত আছে? ২.এই বিস্ফোরণের পেছনে উদ্দেশ্য কী? এই দুটি প্রশ্নকে সামনে রেখেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন অফিসাররা। চলছে সন্দেহভাজনদের গতিবিধির উপর নজর রাখা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে তাদের স্কেচ আঁকার প্রক্রিয়াও। এই বিস্ফোরণের রহস্য উদ্ধার করতে গেলে সবথেকে প্রয়োজনীয় হল দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে যারা ছিলেন তাঁদের বয়ান নেওয়া। এমনকি আহতদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হাসপাতলেও পৌছে যান তদন্তকারী অফিসাররা। কারণ তাঁদের কাছ থেকে জানাটা অত্যন্ত জরুরি ঘটনার দিন তাঁরা রাস্তায় সন্দেহভাজন কাউকে দেখেছেন কিনা। আহতরা আরেকটু সুস্থ হলে এদিনও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অফিসাররা। প্রত্যক্ষদর্শীদের গোটা বয়ানটাই রেকর্ড করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেই ফলওয়ালার বয়ানটি যার দোকানের পাশেই আইইডি রাখা ছিল। তাঁর বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে কয়েকজন নাগেরবাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। এদের বিষয়ে বেশি কিছু তথ্য দিলেন তিনি। স্থানীয় আরেক দোকানদার বলেন,এদিন এলাকায় যাদের দেখা গিয়েছিল তারা সম্পূর্ণই অপরিচিত। তাছাড়া এদের বিস্ফোরণের পর আর এলাকায় দেখা যায়নি বলেও সন্দেহের যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করেছেন ফল ব্যবসায়ীরা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছে গোয়ান্দা বিভাগের কর্তারা। এছাড়া এদিন তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে আইইডি ও বোমার উপাদানও কাটাছেঁড়া করে দেখছেন তাঁরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নাগেরবাজারের বিস্ফোরক অন্য কোনো জেলায় পাওয়া যাচ্ছে কিনা। তার উপর ভিত্তি করে খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে বিস্ফোরক দ্রব্য এ রাজ্যে বানানো হয় নাকি অন্য রাজ্য থেকে আনা হয়েছে। সন্দেহভাজনরা যে এলাকার নন সেটা বুঝতে বাকি নেই সিআইডি কর্তাদের। তবে তারা পড়শি কোনো রাজ্য থেকে এসেছে কিনা বিশেষ করে ঝাড়খন্ড বা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসে এ রাজ্যে সন্ত্রাস তৈরি করার চেষ্টা করেছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনার রহস্য উদ্ধার করা নিয়ে আপাতত কর্মতৎপরতা তুঙ্গে রয়েছে সিআইডি আধিকারিকদের। এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী এক অফিসার জানালেন, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু হাতে এসেছে। খুব শীঘ্রই তাঁরা এই রহস্যের মূলে পৌছাতে পারবেন বলেই মনে করছেন তিনি। কোনো নির্দিষ্ট একজনকে টার্গেট করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল নাকি সন্ত্রাস সৃষ্টির করার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে-বিস্ফোরণ কান্ডের ধোঁয়াশা কাটবে খুব জলদি,আশ্বাস তদন্তকারী অফিসারদের। আপনার মতামত জানান -