এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালই শেষ কথা, নয়া বিধায়ককে চরম শিক্ষা রাজভবনের! সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোড়ন!

রাজ্যপালই শেষ কথা, নয়া বিধায়ককে চরম শিক্ষা রাজভবনের! সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোড়ন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পর সেই নতুন বিধায়ক কবে শপথ গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। চিঠি, পাল্টা চিঠিতে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নতুন বিধায়কের শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়নি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, রাজ্যপাল নিয়ম পালন করছেন না। পরিষদীয় দপ্তর এবং বিধানসভাকে না জানিয়েই তিনি এই শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়াকে সমস্যার মুখে ফেলছেন। তবে ইতিমধ্যেই একবার রাজভবনের পক্ষ থেকে নতুন বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও, তিনি সেখানে আসেননি। যার ফলে তার ঔদ্ধত্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের তরফে। আর এবার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে শপথ গ্রহণের জন্য ফের নতুন বিধায়ককে চিঠি দিলো রাজভবন।

সূত্রের খবর, আগামী 30 সেপ্টেম্বর বিকেল চারটার সময় রাজভবনের শপথ নেওয়ার জন্য আসতে বলা হয়েছে ধুপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে। তবে তিনি এবার আসবেন কিনা, সেটা দেখার বিষয়। কিন্তু প্রথমবার নির্মল বাবু না আসার পর আবার রাজ্যপাল চিঠি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, এবার শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তিনিই। অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বা পরিষদীয় মন্ত্রী যে যুক্তি দিচ্ছিলেন, তা কার্যত খণ্ডন করে দিলেন রাজ্যপাল। মূলত, জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল থাকার সময় থেকেই উপনির্বাচনের পর বিধানসভায় নয় রাজভবনের শপথ বাক্য পাঠ করার রেওয়াজ দেখা গিয়েছিল। তবে এবার তা নিয়ে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে চরম সংঘাত তৈরি হয় রাজ্য সরকারের। দুই পক্ষের দড়ি টানাটানির ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছিলেন ধুপগুড়ি এলাকার মানুষ।

বিরোধীদের দাবি, প্রথম বার যখন রাজ্যপাল তলব করেছিলেন নির্মলবাবুকে, তখনই তার যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি সেই ডাককে উপেক্ষা করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি এক কথায় সাংবিধানিক প্রধানকে অমর্যাদা করেছেন। কিন্তু এবারেও যদি তিনি শপথ বাক্য পাঠ করার আমন্ত্রণে সাড়া না দেন, তাহলে তাকে চরম মাশুল চোকাতে হতে পারে। দলীয় আনুগত্য প্রমাণ করতে গিয়ে যদি এবারেও তিনি রাজভবনে না যান তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন সাংবিধানিক প্রধান। কারণ রাজ্য সরকার যদি ভেবে নেয় যে, তাদের কথা মতোই রাজ্যপাল ওঠবোস করবেন, তাহলে তারা ভুল ভাবছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার আর রাজভবনের এই আমন্ত্রণকে উপেক্ষা করার মতো সাহস হয়তো দেখাবেন না নির্মল চন্দ্র রায়। নিজেদের ইগো ধরে রাখতে গিয়ে তৃণমূল হয়তো আর রাজভবনের বিরোধিতা করার মতো পথ মাড়াবে না। কারণ তাহলে শেষ পর্যন্ত নতুন বিধায়কের শপথ গ্রহণটাই আটকে যেতে পারে। তাই কার্যত রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের কাছে মাথা নত করে নতুন বিধায়ককে রাজভবনেই পাঠিয়ে শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া সেরে নিতে হবে শাসক দলকে। শেষ পর্যন্ত আবার প্রমাণ হয়ে যাবে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিয়মই শেষ কথা। রাজ্য সরকার যা বলবে, অর্থাৎ তাদের একুশে আইন যে সব জায়গায় চলবে না, তাদের গা জোয়ারি যে সব জায়গায় চলবে না, তা প্রমাণ হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়, কি করেন ধুপগুড়ির বিধায়ক, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!