এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলা নাকি বঞ্চিত, এদিকে তৃনমূলের পয়সা ছেটানোর খেলা শুরু? দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস!

বাংলা নাকি বঞ্চিত, এদিকে তৃনমূলের পয়সা ছেটানোর খেলা শুরু? দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস!


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আগামী মাসের 2 এবং 3 তারিখ দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। প্রধান বিষয়, বাংলাকে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে! কেন্দ্রীয় সরকার নাকি একশো দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু যে বাংলার অর্থ নেই, সেই বাংলার শাসক দল এবার দিল্লির কর্মসূচিকে সফল করতে যাদের নিয়ে যাচ্ছে, তাদের পছনেও কারি কারি অর্থ খরচ করছে? ভয়ংকর এই অভিযোগ আমরা তুলছি না। এই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি অবশ্য তৃণমূলের এই টাকা ছেটানোর বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছেন। কারণ তার যুক্তি যে, রাজ্যে তো তৃণমূল কিছুই দিতে পারে না। তাই দিল্লিতে যে কয়েকজনকে তারা টাকা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তারা আর যাই হোক, কিছু টাকা তো পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন। তিনি জানান যে, রাজ্যে কিছু দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই তৃণমূলের। তাই যাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের 500-1000 টাকা করে দিয়ে ভিড় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আর এখানেই প্রশ্ন, সুকান্তবাবুর এই বক্তব্য যদি সঠিক হয়, তাহলে কোন অধিকারে যাদেরকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে, তাদের পেছনে এই টাকা খরচ করছে রাজ্যের শাসক দল?

এটা কি তাদের দলের টাকা! নাকি সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় ভাগ বসিয়ে যে সমস্ত কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস? জানা যাচ্ছে, কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য নাকি একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের শাসক দল। ফলে এত বিপুল মাত্রায় খরচ কে সামাল দিচ্ছে? রাজ্য নাকি দেনার দায়ে ডুবে মরছে! একশো দিনের কাজের টাকা নাকি মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারছেন না! সেই কারণেই তিনি দিল্লির কাছে দরবার করছেন, দলকে পাঠাচ্ছেন বিক্ষোভ করার জন্য। তাই যাদের টাকা নেই, তারা দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে কি করে? সুকান্তবাবুর বক্তব্যের পর এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে সমালোচকদের কাছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তারা নিজস্ব খরচায় এই বিপুল কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের দাবি আদায়ের জন্যই তাদের এই দিল্লি দরবার‌। তবে বিরোধীদের এখানে পাল্টা যুক্তি, রাজ্যে একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনায় বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণেই হিসাব চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যতক্ষণ না হিসাব দেওয়া হবে, ততক্ষণ তাদের টাকা দেওয়া হবে না। কারণ সেই টাকা দিলে আবার দুর্নীতি হবে। তাই চুরি আটকানোর জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ। তবে সেই চুরির টাকা দিয়েই কি নেতারা দিল্লিতে বিলাসবহুল ভাবে ধর্নার নামে ফুর্তি করতে যাচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা এখন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিকে সরানোর স্বপ্ন দেখছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে যদি অভিযোগ জানানোই হত, তাহলে তো সেটা সিস্টেমেটিক ভাবেই করতে পারত তৃণমূল নেতৃত্ব। একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে দিল্লিতে তাদের অভাবের কথা জানাতে পারত‌‌। কিন্তু তা না করে কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তা দিল্লিতে গন্ডগোল করার একটা পরিকল্পনা বলেও আশঙ্কা বিরোধী শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে যাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের পেছনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে বলে ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখন তৃণমূলকেই প্রমাণ করতে হবে, সুকান্তবাবুর এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে তারা তা প্রমাণ করার পথে পা বাড়াবে, নাকি সুকৌশলে গোটা বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়ে দিল্লি নিয়ে ব্যস্ত বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন? সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!