এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেককে ইডির তলবে চরম বাহানা ! সবটাই কি মগের মুলুক ? অস্বস্তিতে তৃণমূল !

অভিষেককে ইডির তলবে চরম বাহানা ! সবটাই কি মগের মুলুক ? অস্বস্তিতে তৃণমূল !


 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  আগামী 3 তারিখ তৃণমূলের যেদিন ধর্না কর্মসূচি, সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তারপর থেকেই কার্যত নাকিকান্না শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। সকলে একটাই কথা বলছেন যে, বেছে বেছে এমন দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হচ্ছে, যেদিন তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেদিন দিল্লিতে বকেয়া টাকা আদায়ের দাবি ধর্না রয়েছে তৃণমূলের। তাই সেই কর্মসূচিকে আটকানোর জন্যই এই ধরনের প্রতিহিংসা পরায়নআচরণ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু ইডি কবে ডাকবে, কিভাবে ডাকবে, এই সবই কি চলবে তৃণমূলের কথামতো? পঞ্জিকা দেখে কি এবার থেকে কাজ করবে নাকি ইডি, সিবিআই! তৃণমূলের তারিখ নিয়ে বাহানার পর এমনটাই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে সমালোচক মহল। কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার বলেছেন, চুরি করার সময় তো তারিখের কথা মনে পড়েনি। তাই এখন যখন ডাকছে, তখন সেই তারিখ অনুযায়ী যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, ইডির পক্ষ থেকে আজ আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী 3 তারিখ সকাল সাড়ে দশটায় তাকে কলকাতায় ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে মূলত লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানির সিইও হিসেবে সমস্ত নথি নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে অভিষেকবাবুকে। আর তারপরেই রীতিমতো তেড়েফুরে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃনমূলের কেষ্ট বিষ্টুরা। তাদের একটাই কথা, নবজোয়ারের সময় ডাকা হয়েছে, ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন রাখা হয়েছে, আবার কেন দিল্লির ধর্নার দিন ডাকা হল? কেন বেছে বেছে এমন দিন ডাকা হচ্ছে, যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে যাবেন! আর তৃণমূলের এই শিশুসুলভ মনোভাব নিয়ে তাদের ধুয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চুরি করার সময় তো দিন তারিখ দেখে চুরি করেননি। তাই ইডি যখন ডেকেছে, তখন একটু নেমন্তন্নটা খেয়ে আসুন। আর যদি এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে ইডিকে চিঠি দেবেন। আজ যাবেন, না হয় কাল যাবেন। কিন্তু যেতে তো হবেই।”

বিরোধীদের দাবি, কি করে তৃণমূলের মুখে ঝামা ঘষে দিতে হয়, সেটাই করে দেখালেন সুকান্ত মজুমদার। এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো ক্ষমতা কোনো মুখপাত্রের থাকবে না। সত্যিই তো তাই! যিনি এত বড় বড় কথা বলেন, যিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এক পয়সার প্রমাণ পেলে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে দেবেন, আমি সেখানে মৃত্যুবরণ করে নেব। তার জেরায় যেতে এত ভয় কিসের? তিনি তো একজন জনপ্রতিনিধি।  মানুষের টাকা চুরি হয়েছে, মানুষ প্রতারিত হয়েছেন, চাকরি বিক্রি করা হয়েছে , ফলে তার তো সেই তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু তিনি সেটা না করে দিল্লি যাওয়ার মত উদ্যোগ দেখাচ্ছেন কি করে? তার কাছে এবং তার পিসির কাছে তো মানুষ সবার আগে। তারা নাকি মা মাটি মানুষের প্রতিনিধি! এসব কিছু ভুলে গিয়ে এখন যে সমস্ত তৃণমূলের নেতারা নাকিকান্না করছে, তাদের নিজেদের দলের যুবরাজকে সততার প্রমাণ দেওয়ানোর জন্য 3 তারিখে ইডির মুখোমুখি দাঁড় করানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রের প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণের অভিযোগ তুলে ধরতেই পারেন। এই বিষয়টি হাতিয়ার করে তারা এখন চেঁচামেচি করতেই পারেন। কিন্তু তাদের সেই চেঁচামেচিতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় সাধারণ মানুষ। তারা চাইছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার একটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। তাই তৃণমূল প্রতিহিংসার কথা বলে যতই প্রচার করুক, সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৃণমূলের কথা মত চলবে না। তারা যেদিন ইচ্ছে, যে সময় ইচ্ছে, যাদের নিয়ে সন্দেহ, তাদেরকে ডাকবে। তাই তৃণমূল নেতাদের ইডির পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব নিয়ে এত বড় বড় কথা কাকস্য পরিবেদনা বলেই মনে করছেন সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!