এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ধনকর-মমতার চূড়ান্ত প্রযায়ের সংঘাত! মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেতেই রাজ্যপাল যা করলেন! জেনে নিন

ধনকর-মমতার চূড়ান্ত প্রযায়ের সংঘাত! মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেতেই রাজ্যপাল যা করলেন! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের রাজ্যপালের সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন নয়। সম্প্রতি বিশ্ব সম্মেলন প্রসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে জগদীপ ধনকড় চিঠি লিখেছেন বলে জানা গিয়েছিল। আবার সেই চিঠির প্রসঙ্গ যেতে না যেতেই মুখ্যমন্ত্রীকে নতুন করে খোঁচা দিতে টুইট করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কর্তা থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বর্তমান সরকার কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

তবে সেখানে কেবলমাত্র রাজ্যকেই যে তিনি দোষারোপ করেছেন সে কথা বলা যাবে না। কারণ টুইটে রাজ্যের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। এদিন রাজ্যপাল টুইট করে বলেন রাজ্যের মানবাধিকার বিপন্ন হয়ে গেছে। পুলিশকর্মীরাই রাজ্যের মানবাধিকার হরণ করে নিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতা হরণ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কুক্ষিগত করার অভিযোগকে সামনে আনতেই তিনি টুইট করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই প্রসঙ্গে, গতকাল দুপুরেই রাজ্যপালকে কড়া কথা শোনেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আবার তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই কথা শোনাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজভবনে নবান্নের পত্রাবলি হাজির হয়। তাতে আক্রমণাত্মক ভাষায় ভারতীয় সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে তাঁর ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলেও জানা যায়। তবে তাতে দু’পক্ষের সংঘাতে যে আরও বাড়বে, সেটা বলাই বাহুল্য। আর হলও ঠিক তাই। রাত পোহাতে না পোহাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফের টুইটে জবাব দিতে দেখা গেল রাজ্যপালকে।

আজ পরপর দু’টি টুইট করেন রাজ্যপাল। প্রথম টুইটে প্রধানমন্ত্রীর কিষাণ যোজনার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগ আনেন তিনি। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুরে গিয়ে কৃষকদের অবস্থা দেখে আসার পরামর্শও দিতে দেখা গেছে তাঁকে। এরপর দ্বিতীয় টুইটে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থার দিকে আবারও আঙুল তুলতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর মতে, যেভাবে গোটা দেশের সরকার চলে, তার ঠিক বিপরীততে রাজ্যে সরকার চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, আম্পনের ত্রাণের প্রসঙ্গ তুলেও ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। সেইসঙ্গে রাজ্যে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা যে কতটা দরকার, সেই কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তবে আগের মত এবারও যে এই কথা শাসকদল সহজে হজম করবে না সে কথাই মনে করছেন অনেকে। তাই আপাতত পাল্টা উত্তরের অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!